|
0415muktarkotha
|
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তির মধ্য দিয়ে ১৪২৩ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বছর ১৪২৪। স্বাগত বাংলা নববর্ষ।
জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করেছে বাঙালি জাতি। ১৪ এপ্রিল শুক্রবার পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতে উঠেছে বাংলাদেশ। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।
নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জাতির উদ্দেশে বাণী দিয়েছেন।

কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার শুরু হয়, মোঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসন ভিত্তি করে প্রবর্তন হয় নতুন এই বাংলা সন।
দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। সম্প্রতি (২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর) ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য করা হয়েছে-'আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর... '।
বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসবে। পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে সারাদেশ। ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণের এ উৎসব আমেজে মুখরিত বাংলার চারদিক। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হয়েছে তার সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। দেশের পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায়, অনুষ্ঠানে কোটি মানুষের ঢল নেমেছে।
আর এই বর্ষবরণ উৎসব তথা নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে আমি কথা বলেছি দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাথে।

আমার সাথে রয়েছেন
(১) দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার,
(২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মো. সামাদ,
(৩) দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সাইফুল আলম,
(৪)জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াছমিন,
(৫) সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও চারুশিল্পী সৈয়দ লুৎফুল হক,
(৬) আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়,
(৭) বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার এবং বাংলাদেশ সংগীত পরিষদের মহাসচিব শব্দসৈনিক ফেরদৌস হোসেন ভূইয়া,
(৮) সিআরআই-এর সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক কবি ও গীতিকার আবাম ছালাহউদ্দিন এবং
(৯) দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ফিচার সম্পাদক ও সিআরআই-এর সাবেক বিদেশী ভাষা বিশেষজ্ঞ শান্তা মারিয়া।
বাঙালি পুরনো বছরের সকল অপ্রাপ্তি ভুলে গিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাঙালি পালন করছে বৈশাখী উৎসব। নতুন বছর মানেই এক নতুন সম্ভাবনা, নতুন আশায় পথ চলা। নতুন বছরে বাঙালির সকল আশা-প্রত্যাশা পুরন হোক এ কামনায়, সবাইকে আবারো বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি- আমি
দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)
বাংলাদেশ।






