প্রথমে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত 'বুকস্টোর নাইট' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ শুনবো।
বুয়েন্স আয়ার্স হলো দক্ষিণ আমেরিকার একটি বিখ্যাত সাংস্কৃতিক শহর। এই শহরের লম্বা বই-পড়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। এ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নানা স্টাইলের বইয়ের দোকান আছে। বুয়েন্স আয়ার্সে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দোকান আছে। শহরটির সবচেয়ে বেশি বইয়ের দোকানের অবস্থান করিয়েন্তাসের রাস্তায় মার্চ মাসে 'বুকস্টোর নাইট' অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে এ বুকস্টোর নাইট শুরু হয়। এ কারণে শহরটির কয়েকডজন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সবচেয়ে কেন্দ্রীয় রাস্তায় পরিণত হয় করিয়েন্তাস। এতে নাগরিকরা আনন্দিত মনে বই পড়ার সুখ উপভোগ করতে পারেন।
'বুকস্টোর নাইট' ছাড়া আরো বিভিন্ন তত্পরতা আয়োজিত হয়। যেমন উন্মুক্ত কনসার্ট, গল্প বলা ও স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উত্সব ইত্যাদি। অনেক বিখ্যাত লেখক-লেখিকা রাস্তায় পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি মত বিনিময় করেন।
বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠান নিয়ে একটি ক্ষুদ্র চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। যদি আপনারা দেখতে চান, আমাকে ইমেইলে জানাবেন, পরে আমি তা পোস্ট করবো।
বন্ধুরা, এবারে শুনবেন ম্যাকাওয়ে অনুষ্ঠিত 'বিশাল ভ্রমণ ও কোম্পানি এবং সামাজিক দায়িত্ববিষয়ক ফোরাম' সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ।
ম্যাকাও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে 'বিশাল ভ্রমণ ও কোম্পানি এবং সামাজিক দায়িত্ববিষয়ক ফোরাম' ২২ মার্চ ম্যাকাওয়ের সিন হাও ইং হুই হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশাল ভ্রমণ ও কোম্পানি ম্যাকাও'র অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূমিকা ও প্রভাব এবং ম্যাকাও'র অর্থনীতির সুষ্ঠু ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করে।
ম্যাকাও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক লি সিয়াং ইয়ু ফোরামে এক ভাষণে বলেন, পণ্যের মাধ্যমে ম্যাকাও এক উচ্চ গতির উন্নয়ন পর্যায়ে রয়েছে। শহরের অর্থনীতিকে সমন্বয় করার মাধ্যমে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ফিরে আসছে। ম্যাকাও সরকার, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সারা সমাজও আশা করে যে, শহরের অর্থনীতি পণ্যের ওপর নির্ভর করবে না। কিন্তু আরো ব্যাপক শিল্প উন্নয়ন করার মাধ্যমে অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, ম্যাকাওয়ের সমন্বিত পর্যটন ও শিল্পের উচিত এক বহুমুখী উন্নয়নের বিকল্প পথ তৈরি করা। তিনি আশা করেন, বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিরা গঠনমূলক প্রস্তাব পেশ করবে, একটি উন্মুক্ত মনোভাব নিয়ে অর্থনৈতিক রূপান্তর করবে। যাতে ম্যাকাওয়ের বিশাল ভ্রমণ এবং কোম্পানি ম্যাকাওকে বিশ্বের পর্যটন ও অবসর কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য শক্তি যোগাতে পারে।
ফোরামে ম্যাকাও'র ছয়টি সমন্বিত পর্যটন ও ব্যবসায়িক দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ভাষণ দেন। লিয়াজোঁ অফিসের উপ-পরিচালক ইয়াও চিয়েন, ম্যাকাও সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভাগের পরিচালক থান চুন রংসহ বিভিন্ন অতিথি ফোরামে অংশ নেন।
বন্ধুরা, এখন 'শেক্সপিয়ারের বিরল মূল বই ও চার্লস ডিকেন্সের পাণ্ডুলিপিসহ গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরির ক্লাসিক সংগ্রহ প্রথম বারের মতো চীনে প্রদর্শন' সম্বন্ধে প্রতিবেদন শুনবেন।
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, সম্প্রতি গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরি চীনের ন্যাশনাল লাইব্রেরির সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রদর্শনী আয়োজন করবে বলে এক ঘোষণায় জানায়। চীনা পাঠকদের কাছে ধারাবাহিক ইংরেজি সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ পাণ্ডুলিপি ও প্রাথমিক পর্যায়ের বিরল মূল বই প্রদর্শন করা হবে। বিস্তারিত শুনবেন সিআরআইয়ের প্রতিবেদনে।
'শেক্সপিয়ার থেকে শার্লক হোমস: গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরির সম্পদ' শিরোনামে প্রদর্শনী ২১ এপ্রিল বেইজিংয়ে উদ্বোধন হবে। এতে রয়েছে চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস <নিকোলাস নিকবি>র পাণ্ডুলিপি, শার্লট ব্রোন্টের উপন্যাস <জেন আয়ার>র সংশোধিত পাণ্ডুলিপি, শেক্সপিয়ারের বিয়োগান্তক নাটক <রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট>র প্রাথমিক সংস্করণ এবং উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতা <আমি মেঘ হিসাবে একাকী বিস্ময়>র পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরির ষোড়শ শতকের প্রাচীন বই গবেষণাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. খেরেন <জেন আয়ার>র সংশোধিত পাণ্ডুলিপি সংবাদদাতাকে পরিচয়ে করিয়ে দিয়ে বলেন,
"এটি হলো শার্লট ব্রোন্টের উপন্যাস <জেন আয়ার>র পাণ্ডুলিপি, আর এ সংস্করণ হলো সংশোধিত পাণ্ডুলিপি। তোমরা দেখতে পারো যে তার লেখা খুবই স্পষ্ট ও পরিপাটি। শার্লট ব্রোন্ট তার নিজের উপন্যাস কপির প্রক্রিয়ায় তার কয়েকটি লম্বা বাক্য ছোট করে সংশোধন করেছেন। তা ছাড়া, তোমরাও পাণ্ডুলিপিতে হ্যান্ডপ্রিন্ট দেখতে পারো।" \
জানা গেছে, এবারের প্রদর্শনীতে ১০টি গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরির পাণ্ডুলিপি প্রদর্শিত হবে যা অনেক চীনা পাঠকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ক্লাসিক সাহিত্যকর্ম। যেমন স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের উপন্যাস শার্লক হোমস সিরিজের <গার্ড অনুপস্থিত> পাণ্ডুলিপি। ব্রিটিশ লেখক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের জেমস বন্ড সিরিজের < দ্য লিভিং ডে লাইটস>র পাণ্ডুলিপি।
গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরির সংস্কৃতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তি জেমি অ্যাণ্ড্রুজ জানিয়েছেন, এসব বহুমূল্যবান প্রাচীন বই ও পাণ্ডুলিপি এবং সংশ্লিষ্ট চীনা অনুবাদিত সাহিত্যকর্ম, অভিযোজিত সাহিত্যকর্ম, সাহিত্য পর্যালোচনা এবং গবেষণা সাহিত্য এক সঙ্গে প্রদর্শিত হবে। এতে চীন-ব্রিটিশ সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দু'দেশের লম্বা বিনিময় ও সংলাপের ইতিহাস দেখা যাবে।
"পাঠকদের কাছে চীন-ব্রিটেন সাহিত্যের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তুলে ধরার জন্য এবারের প্রদর্শনী আয়োজিত হবে। যেমন, শেক্সপিয়ারের বিয়োগান্ত নাটক <রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট>র প্রাথমিক সংস্করণ, যা গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরির সবচেয়ে মূল্যবান একটি সংগ্রহ। এ সংস্করণ ও চীনের ন্যাশনাল লাইব্রেরির সংগ্রহকৃত মিং রাজবংশের মাও ইং খে'র <মু তান থিং> এক সাথে প্রদর্শিত হবে। আমরাও জানি যে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ও থাং সিয়ে চু এক যুগের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার।"
অ্যাণ্ড্রূজ পরিচয় করিয়ে বলেন, চীনা পাঠকদের সঙ্গে আরো ভালোভাবে বিনিময়ের জন্য গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরি একটি বিশেষ চীনা ভাষার ওয়েবসাইট চালু করেছে এবং একটি উইচ্যাট প্ল্যাটফর্মও খোলা হয়েছে।
"প্রদর্শনীর সঙ্গে সঙ্গে আপনিও চীনা ভাষার ওয়েবসাইট লগ ইন করুন, বা আমাদের উইচ্যাট প্ল্যাটফর্ম দেখুন। এক ডিজিটাল ওয়েবসাইটে প্রতি পাঠক যেন সত্যিকারভাবে সেসব পাণ্ডুলিপি স্পর্শ করতে পারে, একটি পৃষ্ঠার পর আরেকটি পৃষ্ঠা। মিডিয়া পর্ব গিয়ে পাঠকরাও লেখক-লেখিকার নিজের পড়া কর্মের অডিও ফ্রিকোয়েন্সি শুনতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি এসব ছোট প্রযুক্তি যুক্ত করে সাহিত্যকর্মে নতুন প্রাণ ও শক্তি বয়ে আনা যাবে।"
এ প্রদর্শনী ২১ জুন শেষ হবে। তা গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরির তিন বছরের বড় সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প 'গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরি চীনে: জ্ঞান ও সংস্কৃতি'র একটি অংশ। বেইজিং ছাড়া শাংহাই, হংকং ও উ চেনসহ চীনের বিভিন্ন শহরগুলোতে বিভিন্ন আকারের প্রদর্শনী আয়োজিত হবে। গ্রেট ব্রিটেন লাইব্রেরি আশা, এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে চীন ও অন্য পূর্ব-এশীয় দেশের অংশীদারিদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান শেষের আগে কয়েকটি সাংস্কৃতিক খবর শুনবো।
বেইজিং পর্যটন উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে 'বেইজিং, অতীত এবং বর্তমান ভ্রমণ' নামক ২০১৭ বেইজিং স্টাডি ট্যুর প্রচার সম্মেলন মার্চ মাসের শেষ দিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
বেইজিং পর্যটন উন্নয়ন সমিতির পরিচালক সুং ইয়ু বলেন, বেইজিং শহরের প্রচুর লম্বা ইতিহাস ও সংস্কৃতি আছে। তা চীনা ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি জায়গা। নিষিদ্ধ শহর, বিস্তৃত মহাপ্রাচীর ও ঐতিহ্যবাহী বাড়িসহ প্রাচীন বেইজিং চীনা সংস্কৃতির ক্লাসিকাল প্রতীক। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই সংস্কৃতিকে ভীষণ পছন্দ করে।
সুং আরো বলেন, স্টাডি ট্যুর দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেইজিংও নতুন পর্যটন পদ্ধতি খুঁজছে। যেমন শিক্ষা-স্টাডি ট্যুর ভ্রমণ, চীনা ঔষধ ও স্বাস্থ্যপর্যটন ও অন্যান্য নতুন পর্যটন ফরম্যাট। এসব নতুন ভ্রমণ পদ্ধতি বেইজিং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ দিকে পরিণত হয়েছে। তিনি আশা করেন ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ার ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন সহযোগিতামূলক পদ্ধতি খুঁজে বের করা হবে, যাতে আরো বেশি মালয়েশীয় নাগরিক বেইজিংয়ে ভ্রমণ ও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
বেইজিং স্টাডি ট্যুর প্রচার সম্মেলনে চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পরিষেবা ও মালয়েশিয়ার স্থানীয় ভ্রমণ পরিষেবার মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দু'পক্ষ পর্যটন রিসোর্স শেয়ারিং, স্টাডি ট্যুর পর্যটনের প্যাটার্নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
পাকিস্তানের বিখ্যাত শিল্পী জিমি ইঞ্জিনিয়ার ২৯ মার্চ তার আঁকা একটি বিখ্যাত ছবি 'গৌরবময় পাকিস্তান' চীনের আর্ট মিউজিয়ামের কাছে হস্তান্তর করেন। এখন থেকে ছবিটি স্থায়ীভাবে এই মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হতে থাকবে।
হস্তান্তর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেইজিংয়ে পাক রাষ্ট্রদূত মাসুদ খালিদ, শিল্পী নিজে, চীনের আর্ট মিউজিয়ামের উপ-মহাপরিচালক হু ওয়েই উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে হু ওয়েই বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ইতিহাস সুদীর্ঘকালের। এ ছবি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। চীনের আর্ট মিউজিয়ামে ছবিটির স্থায়ী প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুধুমাত্র শিল্পীর প্রতি সম্মান জানানো হবে না, এর মাধ্যমে দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীকেও সম্মান জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে পাক রাষ্ট্রদূত মাসুদ খালিদ বলেন, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের 'এক অঞ্চল, এক পথ' কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দু'দেশের নেতৃবৃন্দ ও জনগণ দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী জোরদারে যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তা বর্তমানে ফল দিচ্ছে। এ ছবির মাধ্যমে চীনারা পাকিস্তানের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
শিল্পী জিমি ইঞ্জিনিয়ার অনুষ্ঠানে চীনের আর্ট মিউজিয়ামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দু'দেশের মৈত্রী আরও জোরদারে তার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে।
'২০১৭ নেপাল-সিছুয়ান সুস্বাদু খাবার সাংস্কৃতিক সপ্তাহ'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মার্চ মাসের শেষ দিকে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের অনুষ্ঠান হলো চীনের আঞ্চলিক প্রদেশের প্রথম বারের মতো নেপালে সুস্বাদু খাবার প্রতিপাদ্য হিসেবে অনুষ্ঠিত এক সাংস্কৃতিক তত্পরতা।
নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী কৃষ্ণ বাহাদুর, চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ডেপুটি-মেয়র চু হে সিন, নেপালে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ু হংসহ বিভিন্ন অতিথি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়ু হং জানিয়েছেন, এবারের তত্পরতা হলো নেপালি জনগণের জন্য চীনকে গভীরভাবে জানার একটি সুযোগ। তা শুধু নেপালে চীনের পর্যটকদের জন্য সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত করে না, নেপালি নাগরিকদেরও অনেক খাবার দেয়।
ইয়ু হং বলেন, এ ধরনের তত্পরতার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিনিময় হয়, কিন্তু তা পর্যটন সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন ব্যবস্থা। সিছুয়ানের রাজধানী ছেং তু ও নেপালের শহরের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট আছে। যা উভয়ের পারস্পরিক বিনিময়ের জন্য আরো বেশি সুবিধা দেবে।
চু হে সিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ সুস্বাদু খাবার সপ্তাহ নেপালি জনগণের জন্য একটি স্বাদ এবং চাক্ষুষ পর্ব বয়ে আনবে।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান। (জিনিয়া/টুটুল)