২০১৬ সালে, চীনের ভাগাভাগি অর্থনীতির পরিমাণ ৩৪ লাখ ৫ হাজার ২০০ কোটি ইউয়ানে পৌঁছেছে। তা গত বছরের তুলনায় ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৬০ কোটি মানুষ এখন ভাগাভাগি অর্থনীতির সঙ্গে কোনভাবে জড়িত আছে এবং এতে ৫৮ লাখ ৫০ হাজার কর্মসংস্থান দেওয়া হয়েছে। এ দ্রুত উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য।
গত বছরে আমি চীন সফর করার সময় ভাগাভাগি অর্থনীতির প্রভাব চোখে পড়ার মতো। চীনের ইন্টারনেট ব্যবস্থা দ্রুত উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে উবার, দিদি ও অফোসহ ভাগাভাগি অর্থনীতি চীনা মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সামাজিক সম্পদ আরো কার্যকর হয়েছে, মানুষের জীবনযাপন আরো সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি উবার মাত্র বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। ভাগাভাগি অর্থনীতির কথা বাংলাদেশের ক্রেতাদের কাছে এখনো নতুন ধারাণা। এ ক্ষেত্রে চীনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে।
পক্ষান্তরে পুরোপুরি নতুন এক ধরনের অর্থনৈতিক রূপ বলে ভাগাভাগি অর্থনীতির তত্ত্বাবধানে নতুন চ্যালেঞ্জও বটে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা সম্পূর্ণকরণ এবং সংশ্লিষ্ট পরিসেবা ব্যবস্থা সম্পূর্ণকরণ এ অর্থনীতির সুষ্ঠু উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেবল তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হলে এ নতুন অর্থনৈতিক শাখা সারা দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে এবং জনগণের জন্য আরো সুযোগসুবিধা এনে দিতে পারে।