0312topic
|
২০১৭ সালে চীনের সামরিক ব্যয় অনেকখানি বেড়ে যাবে বলে বলা হলেও তা বিগত বছরগুলোর মতো নয়। গত দু'বছর ধরে চীনের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি এক অংকে সীমিত ছিল, যদিও তার আগে প্রায় দু' দশকে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশ বা তারও বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সামরিক ব্যয়ের বেশির ভাগই খরচ করা হয়েছে বিমানবাহী, যুদ্ধজাহাজ বা দূরপাল্লার বোমারু বিমানের মতো প্রযুক্তির পেছনে।
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকায় সশস্ত্র বাহিনীকেও ক্রমান্বয়ে আধুনিক করে গড়ে তুলতে চায় চীন। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের অন্যান্য বড় দেশের তুলনায় চীনের প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ যে-কোনো দিক বিবেচনায় নিম্ন পর্যায়ে। বিশেষ করে চীনের ঘোষিত প্রতিরক্ষা বাজেট এখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেটের চেয়ে কম।
২০১৭ সালে চীনের পরিকল্পিত জিডিপি'র (মোট দেশজ উৎপাদন) ১ দশমিক ৩ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করা হবে জানিয়েছেন চীন সরকারের মুখপাত্র ফু ইং।রীতি অনুযায়ী, আত্মরক্ষা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে চায় চীন।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো বিরোধের নিষ্পত্তিতে আগ্রহী চীন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর বেইজিং।
২০১৭ চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে আমি কথা বলেছি বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান ল্যাফ্টেনেন্ট জেনারেল (অবসর) এম. মাহাবুবুর রহমানের সাথে। আমি তার সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি এবারের চীনা প্রতিরক্ষা বাজেট তিনি কিভাবে মূল্যায়ন করছেন এবং চীনের প্রতিরক্ষা বাজেটের দিকে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-ভারতসহ অন্যান্য দেশ যেভাবে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে সেটিকে তিনি কিভাবে দেখছেন।
চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট সম্পর্কিত আজকের বিশেষ আয়োজনে শ্রোতাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি দিদারুল ইকবাল।
শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এতক্ষণ শুনছিলেন ২০১৭ চীনা প্রতিরক্ষা বাজেটের উপর বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান ল্যাফ্টেনেন্ট জেনারেল (অবসর) এম. মাহাবুবুর রহমানের বিশেষ সাক্ষাৎকার।
সিআরআই-এর সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)
বাংলাদেশ।