১. খাওয়ার আগে পানি পান করুন
প্রত্যেকবার খাদ্যগ্রহণের আগে এক গ্লাস পানি পান করে নিন। এতে খিদে কমে যাবে। ফলে খাওয়া কম হবে। খেতে বসার আগে খালি পেটে পানি পান করলে হজমের জন্যও সুবিধে হয়। পেট ফুলে যায় না, অর্থাত পেটে গ্যাস ফর্ম করে না। এ ছাড়া, খাওয়ার আগে পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও দূর হয়।
২.অল্প পরিমাণে বেশিবার খাবার খান
আমরা সাধারণত দিনে তিন বার খাই: নাস্তা, লাঞ্চ ও ডিনার। এটাই আমাদের খাবার নিয়ম। ওজন কমাতে চাইলে এই নিয়মের প্রতি খেয়াল করা উচিত। সকালে অবশ্যই খালি পেটে থাকবেন না। নাস্তার গুরুত্ব আগের অনুষ্ঠানে আমরা অনেকবার বলেছি। অনেকেই নাস্তা না-খেয়ে রাতের ডিনারে বেশি খান, এটা ঠিক নয়। নাস্তা সমৃদ্ধ হতে হবে। আরেকটি কথা, তিন বারের পরিবর্তে দিনে ৬ বার খান। মানে তিন বারের খাবারই ছয়বারে খাবেন। এতে উপকার পাবেন।
৩.ক্যালরিজাতীয় খাবার কম খান
বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার এমনিতেই শরীরের অনেক ক্ষতি করে। এ ধরণের খাবার খেলে মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে শরীরে মেদ বাড়ে। ওজন বেড়ে শরীরের গঠনও নষ্ট হয়। তাই অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার বাদ দেন আপনার খাদ্যতালিকা থেকে। শাক-সবজি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪.বাসা ও অফিসঘর মুছুন
একটি পরিষ্কার পরিবেশ আমাদের সুস্থতার জন্য সহায়ক। এতে মেজাজও ঠাণ্ডা থাকে। ঘর পরিষ্কারের কাজ আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। যদি নিয়ম করে ঘর মুছেন, তাহলে আপনার ওজনও ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
৫. সময়মত ঘুমান, রাত জাগবেন না
তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে খুব ভোরে জেগে ওঠার অভ্যাস একজন মানুষকে স্বাস্থ্যবান রাখে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আধুনিক সমাজে আমাদের অনেকেরই রাত জাগার বদভ্যাস গড়ে উঠেছে। আর স্বাভাবিকভাবেই এ অভ্যাসের কারণে আমাদের অনেককেই প্রতিনিয়ত নানান সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। কেউ কেউ তো শেষ পর্যন্ত ইনসোম্নিয়া বা নিন্দ্রাহীনতায় ভুগছেন। সুতরাং, দেরিতে না--ঘুমানোর সংকল্প করুন এবং তা মনে রাখার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুম আপনাকে মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
(ওয়াং হাইমান/আলিম)