20170223huati.mp3
|
একুশ মানে মায়ের ভাষা, প্রণের ভাষা, গানের ভাষা, আবেগের ভাষা, বাংলা ভাষা। একুশ মানে মায়ের ভাষার দাবিতে বাঙালির আত্মত্যাগের মহিমান্বিত অন্যতম একটি দিন।
বাংলা ১৩৫৮ সালের ৮ই ফাল্গুন তথা ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা বিশ্বকে অবাক করে মায়ের ভাষার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল এদেশের সূর্য সন্তানরা। যাদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগেই বাঙালি জাতি পেয়েছি অমৃতসম মায়ের ভাষা- বাংলা। তাই কৃতজ্ঞ জাতি সম্মিলিত ভাবে প্রতি বছর এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করে থাকে।
একুশের দিনটি শুধু বীর ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, যারা ভাষার জন্য অকাতরে নিজের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি কেবল বাংলাদেশে নয়, পালিত হয়েছে বিশ্বের সব প্রান্তে।
বাঙালির রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বে একযোগে পালিত হয়ে আসছে দিনটি।
৬৫ বছর আগের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা যে ত্যাগ ও গৌরবগাথা রচনা করেছিলেন, তারই পথ ধরে বাঙালি জাতী মুখোমুখি হয় স্বাধীনতা সংগ্রামে। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। লাভ করে লাল সবুজের পতাকা।
এই অমর একুশ নিয়ে আমি কথা বলেছি দুজন বিশিষ্ট সিনিয়র সাংবাদিক এবং একুশে পদক প্রাপ্ত একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীর সাথে..........
(১) হাসান হাফিজ, সিনিয়র সাংবাদিক ও কবি
(২) সৈয়দ লুৎফুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক এবং
(৩) ফাতেমা-তুজ-জোহরা, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী।
১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি কখনো জাতীয় শোক দিবস, কখনোবা জাতীয় শহীদ দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে।
২০০১ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে। বাংলাদেশে এদিন ছিলো সরকারি ছুটি।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দিবসের তাৎপর্য্য তুলে ধরে। দৈনিক সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, বেতার শ্রোতা সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকালে কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এছাড়া ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা সহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)
বাংলাদেশ।