বৈঠকে লি খ্য ছিয়াং বলেন, চীন ফ্রান্সের সাথে কৌশলগত দিক থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দেখতে ইচ্ছুক। চীন ও ফ্রান্স উভয়ই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী প্রতিনিধি। চলমান জটিল আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দু'দেশের গভীর আদান-প্রদান ও সমন্বয় প্রয়োজন, যাতে বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা জোরদার এবং যৌথভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।
লি আরো বলেন, ফ্রান্সের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গভীরভাবে স্বার্থের সংমিশ্রণ বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী বেইজিং। বিশেষ করে পরমাণু সম্পদের সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা জোরদার, চীন-ফ্রান্স ও ব্রিটেনের হিঙ্কলে পরমাণু বিদ্যুত্ প্রকল্প চালু, যৌথভাবে তৃপক্ষীয় পরমাণু বিদ্যুত্ বাজার অনুসন্ধান, বেসরকারি বিমান ও নভোযানের সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, ওষুধ ও চিকিত্সাসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা উন্নত করতে চায় চীন।
কজেনভ বলেন, চলমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা জোরদার করা উচিত। বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে চীনের সাথে অবাধ বাণিজ্য ও স্বাধীনতা রক্ষা করবে ফ্রান্স। ইউরোপ ও চীনের মধ্যে অনেক অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অন্তর্ভুক্তকারী চুক্তির ১৫ নম্বর বিধি সম্পর্কে মতভেদ সমাধান করা হবে বলে বিশ্বাস করে ফ্রান্স এবং তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে প্যারিস। (সুবর্ণা/টুটুল)