0203china
|
শাওলিন মন্দির বিখ্যাত হওয়ার পেছনে 'চেন' এবং 'উ'র ভূমিকা রয়েছে। 'চেন' অর্থাৎ 'চেনজং' মানে মানুষের মনের প্রশিক্ষণ ও উন্নতির প্রক্রিয়া। এ ধারণা প্রাচীন ভারত থেকে চীনে এসেছে এবং বিকশিত হয়েছে। চেনজং অনুশীলনের পদ্ধতি হলো 'ধ্যান' এবং 'নীরবতা'। অর্থাৎ নীরবে বসে গভীরভাবে ধর্মীয় অনুশীলন করা, চিন্তা করা। নীরবে বসে থাকার অর্থ হলো, দীর্ঘ সময় দুই পা গুটিয়ে বসে থেকে গভীরভাবে চিন্তা করা। আসলে এটি বেশ কষ্টকর একটি প্রক্রিয়া। আর তাই বৌদ্ধভিক্ষুরা কংফু চর্চা করেন, যাতে স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়। অন্যদিকে, 'উ' হলো কংফু বা উশু। 'উ' শাওলিন ভিক্ষুদের অনুশীলনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি উশুর মূল কথা হলো 'চেন'। শাওলিন মুষ্টিযুদ্ধ, গদা দিয়ে আঘাত, চত্তড়া ধারবিশিষ্ট, তরবারি, ফ্রি কমব্যাট ও ছিগং। 'চেন'-এর সঙ্গে বহুমুখী উশু ব্যবস্থা সমন্বয় করা হয়েছে। হাজার বছর আগে শাওলিন মন্দিরের বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও কংফুর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়েছিল। 'উশু' অনুশীলনের লক্ষ্য হলো, আরো ভালভাবে 'চেন' চর্চা করা করা। আর 'চেন' চর্চার মাধ্যমে 'উশু' মানুষের মন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে পারে।
শাওলিন মন্দিরে বহু মূল্যবান অসংখ্য পুরাকীর্তি রয়েছে। যেমন, শাওলিন মন্দিরের টাওয়ার বন বা স্তম্ভবন। এটি মন্দিরের বৌদ্ধভিক্ষুদের বিখ্যাত সমাধিক্ষেত্র।