0120china
|
তুনহুয়াংয়ে সবচেয়ে বিখ্যাত গুহা হলো মুওকাও গুহা। গুহাটি মিংশা পাহাড়ের পূর্ব দিকের খাড়া বাঁধের ওপর নির্মিত। এটি উত্তর-দক্ষিণে ১৬০০ মিটার লম্বা এবং ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পাঁচটি তলা রয়েছে। এতে ৪৯২টি গুহা রয়েছে। বিভিন্ন তলার গুহার আকারও বিভিন্ন রকমের। গুহাগুলো দেখতে অনেকটা ঘুঘু পাখির বাসার মতো, খুবই চমৎকার ও আকর্ষণীয়। মুওকাও গুহায় ২১০০ টিরও বেশি রঙ্গিন বৌদ্ধমূর্তি রয়েছে। সেজন্য মুওকাও গুহার আরেকটি নাম হলো, হাজার বুদ্ধের গুহা। এ গুহার রয়েছে অনেক ইতিহাস। চীনের ১০টি রাজবংশ এখানে আলাদাভাবে বুদ্ধমুর্তি নির্মাণ করেছেন। তুনহুয়াংয়ে আরেকটি সম্পদ হলো মুরাল বা প্রাচীরচিত্র। এর দৈর্ঘ্য মোট ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। তুনহুয়াং হলো বিশ্বের বৃহত্তম ভাস্কর্যের গুহা।
তুনহুয়াংয়ের আরেকটি বিস্ময়কর দৃশ্য সবারই দেখা উচিত। মিংশা পাহাড় ও ইউয়েইয়া ঝর্না। ইউয়েইয়া ঝর্নার পানি পরিষ্কার ও মিষ্টি, এর নীল ঢেউগুলো ভীষণ সুন্দর। ইউয়েইয়া ঝর্না 'মরুভূমির প্রথম ঝর্না' নামে পরিচিত। হাজার হাজার বছর ধরে প্রবাহিত ইউয়েইয়া ঝর্না এখনও অটুট রয়েছে। এমনকি প্রচণ্ড খরায়ও তা শুকায়নি। এটি হলো, বাতাস বালি ও পাহাড়ের শক্তির বিরুদ্ধে টিকে থাকা ঝর্নাধারা। মিংশা পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাস সুউচ্চ পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে অসাধারণ সুর সৃষ্টি করে। সে সুর প্রতিটি মানুষের মনে অর্কেস্ট্রার বাজনার কথা মনে করিয়ে দেয়। যা অনেক আশ্চর্যজনক একটি ঘটনা।
তুনহুয়াং চীনে বিদেশী পর্যটকদের গমনযোগ্য ৫০টি জায়গার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি স্থান।