সি চিন পিং বলেন, ভিন্ন সামাজিক ব্যবস্থা, ভিন্ন উন্নয়নের অবস্থা আর ছোট ও বড় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। গত বছর দু'দেশ নব্যতাপ্রবর্তন ও কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক স্থাপন করেছে, তা দু'দেশের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সুইস সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাতে বেইজিং ইচ্ছুক বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে দু'নেতা দু'দেশের পরিকল্পনা ও মেধা যুক্ত করে দু'দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে একমত হন ।
চীন-সুইস অবাধ বাণিজ্য চুক্তি চালু করে বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ, অর্থ ও বীমাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' নির্মাণে সহযোগিতা জোরদার করা হবে বলেও জানান তারা।
তা ছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান জোরদারের বিষয়ে একমত হন। ২০১৭ সালকে দ্বিপাক্ষিক পর্যটন বর্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা। এ ছাড়া, ২০২২ সালে চীনের উদ্যোগে শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দু'দেশের ক্রীড়া সহযোগিতায় উন্নয়ন করার বিষয়েও রাজি হন দু'নেতা। (সুবর্ণা/টুটুল)