হংকংয়ের বৃহত্তম কৃষি ও মত্স্য খাদ্য ‌উত্সব
  2017-01-17 16:44:09  cri

সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি আমি আপনাদের বন্ধু ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া।

প্রথমে 'হংকংয়ের বৃহত্তম কৃষি ও মত্স্য খাদ্য ‌উত্সব' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ শুনবেন।

২০১৭ সালের শুরুতেই হংকংয়ের চিউ লংয়ের ওয়াং চিয়াও ফুল পার্কে

চারদিনব্যাপী 'কৃষি ও মত্স্য খাদ্য উত্সব' অনুষ্ঠিত হয়। উত্সবে প্রায় তিন'শটিরও বেশি দোকানে নানা ধরনের কৃষি ও মত্স্য পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি হয়।

এ খাদ্য উত্সব বা মেলা আসলে হংকংয়ের বৃহত্তম মেলা। হংকংয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তিক্ষেত্রের কৃষি ও মত্স্য খাদ্যদ্রব্য মেলার একটি বৈশিষ্ট্য।

হংকংকে এশিয়ার সুস্বাদু খাবার-শহর বা ভোজনবিলাসী রাজধানী বলা হয়। সুস্বাদু খাবার নিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো আসলে হংকংয়ের লোকদের বিশেষ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা। হংকংয়ে সারা চীন এমনকি সারা বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। হংকং একটি বন্দর শহর, সেজন্য এখানে অনেক স্থানীয় সামুদ্রিক খাবার আছে। এই খাবার স্থানীয় নাগরিক ও পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হংকং কৃষি ও মত্স্য সংরক্ষণ বিভাগ ইতিবাচকভাবে শহরের স্থানীয় কৃষি ও মত্স্যশিল্প উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ দিয়েছে। গুণগতমান উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে বাজারের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন পরিবর্তনেরও চেষ্টা করছে কৃষি ও মত্স্য সংরক্ষণ বিভাগ।

বিভাগটির পরিচালক মো বি সিয়া এবারের মেলার জন্য বিশেষ 'স্বীকৃত মত্স্য কৃষি প্রকল্প'-র কিউআর কোড নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে তারা হংকংয়ের ১১৮টি স্থানীয় স্বীকৃত মত্স্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। তারা মত্স্যশিল্পের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিকায়ন এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং দ্রব্যের গুণগতমান উন্নত করবেন। তিনি বলেন,

'গত বছর আমরা প্রধানত মত্স্যশিল্পের আধুনিকায়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। দ্রব্যের গুণগতমান উন্নয়ন করা বরাবরই আমাদের কর্তব্য। চলতি বছর আমাদের ব্র্যান্ডের কিউআর কোড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিকরা যদি আমাদের শিল্পের কোনো নতুন তথ্য জানতে চায়, তাহলে তারা কিউআর কোড স্ক্যান করে প্রতিদিন আমাদের সর্বশেষ খবর জানতে পারবে। যেমন এ ধরনের মাছ কোন প্রকল্পের পণ্য? এই প্রকল্পের দায়িত্বশীল ব্যক্তি কে? যদি মাছ খাওয়ার পর আরো খেতে চায়, তাহলে কার সাথে যোগাযোগ করবে? মাছ চাষের প্রক্রিয়ায় গুণগতমান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে লোকজনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আরো ঘনিষ্ঠ হবে, বাড়বে পারস্পরিক আস্থা'।

আসলে হংকংয়ে কৃষিভূমি বেশ কম। হংকং কৃষি ও মত্স্য সংরক্ষণ বিভাগের কৃষি বিভাগের পরিচালক ছেন ই মিন জানান, হংকংয়ের ভূমির আয়তন ছোট বলে কৃষি দ্রব্যের অভাব। বর্তমানে হংকংয়ের স্থানীয় কৃষি দ্রব্যের সংখ্যা মোট বাজারের দ্রব্যের ২শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য এবারের মেলা মত্স্য দ্রব্য উন্নত করা ছাড়াও স্থানীয় কৃষিশিল্প প্রচারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তিনি বলেন,

'এবারের মেলায় তিন'শরও বেশি স্টল রয়েছে। দু'শরও বেশি স্টলের মালিক স্থানীয় মত্স্য ও কৃষি দ্রব্যের সঙ্গে যুক্তরা। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় লোকদের কাছে স্থানীয়-উত্পাদিত কৃষি দ্রব্যের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যাতে লোকজন আরো বেশি করে স্থানীয় দ্রব্য কিনতে পারেন। আসলে পরিবেশ রক্ষাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, কৃষি দ্রব্য আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনার পাশাপাশি কৃষি দ্রব্য আমাদের একটি ঐতিহ্যও। আমরা আশা করি লোকজন নিজের কৃষিশিল্পের ঐতিহাসিক জ্ঞান রক্ষা করবে'।

এবারের এ উত্সবে লোকজন বীজ বিকল্প, কৃষি যন্ত্রপাতি, জলসেচ ব্যবস্থা, দ্রব্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য জানতে পেরেছে। তা ছাড়া, ছবি ও ভিডিওসহ বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষির ওপর আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ প্রক্রিয়া প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া, পরিচালক ছেন ই মিন সাংবাদিকদের সামনে খাদ্য দ্রব্যের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখান যে, কীভাবে দ্রব্যের গুণগতমান নিশ্চিত করা যায়। এতে দেখা যায়, হংকং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর অনেক গুরুত্ব দেয়।

হংকং পেশাগত শিক্ষা কলেজের খাদ্য প্রযুক্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের শিক্ষক ফাং লি ইং বলেন, 'আমাদের নিয়মিত খাবারের প্রধান দু'টি উত্স আছে: প্রাণী ও উদ্ভিদ। সেজন্য এ দু'টি দিক থেকে আমরা খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। যেমন, আবাদি জমি, আবাদি জমির সংশ্লিষ্ট পানি, জমি ও বীজসহ ইত্যাদি। খাদ্যের উত্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানে হলো নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশের ভিত্তি সৃষ্টি করা। তাকে খাদ্যের কৃষি পদ্ধতি বলা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থায় আশ্বস্ত হয়ে লোকজন খাদ্য দ্রব্য কিনতে পারবেন'।

বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক লায়লা সামাদ

লায়লা সামাদ (৩ এপ্রিল, ১৯২৮-১০ আগস্ট, ১৯৮৯) ছিলেন বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকতার একজন অগ্রপথিক ও একজন কথাসাহিত্যিক। সাংবাদিক হিসেবে তিনি দৈনিক সংবাদ, চিত্রালী, পূর্বদেশ ও দৈনিক বাংলায় এবং সম্পাদক হিসেবে সাপ্তাহিক বেগম, মাসিক অনন্যা ও পাক্ষিক বিচিত্রায় কাজ করেন। রাজনীতি, সংস্কৃতি, সমাজসেবায়ও তার অবদান ছিল। বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্প, নাটক, শিশুসাহিত্য, ভ্রমণকাহিনীতে তার বিচরণ ছিল। তার লেখা ছোটগল্পের সংখ্যা ৬টি এবং অন্যান্য রচনা সংখ্যায় ৬টি। ছোটগল্পে অবদানের জন্য তিনি ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ঢাকা লেডিস ক্লাব তাকে উত্সর্গ করে সাহিত্যে 'লায়লা সামাদ পুরস্কার' প্রদান করে থাকে। তার কর্মময় জীবন নিয়ে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন রচনা করেছেন 'কথাশিল্পী লায়লা সামাদ'।

প্রাথমিক জীবন:

লায়লা ১৯২৮ সালের ৩ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান ভারত) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার মির্জাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম খান বাহাদুর আমিনুল হক ও মায়ের নাম তহমীনা খাতুন। তার বাবা ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী। তার মা ছিলেন শের শাহের প্রধান সেনাপতি ড্যানিয়েল খায়ের বংশধর। শৈশবে তিনি খুব দুরন্ত ছিলেন। স্কুল থেকে পালিয়ে গিয়ে খোট্টা মালিদের সাথে আড্ডায় মশগুল থাকতেন এবং তাদের তৈরি ছাতু ও দোকানে গিয়ে মিষ্টি খেতেন।

শিক্ষাজীবন:

জলপাইগুড়ির মিশনারি স্কুলে লায়লার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন কলকাতার ডাইসেশন স্কুল ও নারী শিক্ষা মন্দির থেকে। পরে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে তিনি প্রবেশিকা পাস করেন। কিছুদিন আশুতোষ কলেজ ও লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে পড়লেও বিএ পাস করেন প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে। ১৯৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে তিনি সেখান থেকে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন এবং বংশীধর জার্নাল স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনিই এই পদকপ্রাপ্ত প্রথম মুসলমান নারী। ১৯৬০ সালে পশ্চিমবঙ্গের তত্কালীন রাজ্যপাল সরোজিনী নাইডুর হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক গ্রহণ করেন। তার পদকপ্রাপ্তির এই খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও স্টেটসম্যান পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।

রাজনৈতিক জীবন:

লায়লার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি হয় তার গৃহশিক্ষক মোখলেসুর রহমানের মাধ্যমে। মোখলেসুর রহমান কমরেড মুজফ্ফর আহমদের সাথে জড়িত ছিলেন। তার কাছ থেকে লায়লা সমাজতন্ত্রে উত্সাহ লাভ করেন এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যোগ দেন। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন পাড়ায় তিনি দলের কাজে যোগ দিয়েছেন এবং স্বাধীনতা, পিপলস ওয়ার পত্রিকা ও সমাজতান্ত্রিক বই নিয়ে যেতেন। সেই সব বই বিক্রি করে দলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন। রাজনীতিবিদ মির্জা আবদুস সামাদের সাথে বিয়ের পর তিনি তার সাথে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আবদুস সামাদের দায়িত্ব ছিল জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের চা বাগান ও রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নকে সংগঠিত করার। লায়লা তাকে এ কাজে সহায়তা করতেন। কিছুদিন পর কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় এবং আবদুস সামাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তখন তারা ঢাকা ছেড়ে বেশ কিছু বছর কলকাতায় চলে গিয়েছিলেন।১৯৫২ সালে দেশে ফিরে এসে যোগ দেন নারী প্রগতিবাদী নেত্রী জুঁইফুল রায়ের সাথে। ভাষা আন্দোলন চলাকালীন রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে তিনি নিবেদিতা নাগের সাথে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় তিনি সভা ও বক্তৃতায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। নির্বাচনের পরে দেশে ৯২-ক ধারা জারি হলে তিনি আবার স্বামী ও মেয়েসহ কলকাতায় আত্মগোপন করেন। ১৯৬০ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি সংস্কৃতি সংসদ নামে এক আলোচিত আন্দোলনে যোগ দেন।

কর্মজীবন:

লায়লা সামাদ তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৫০ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা 'বেগমের' সহ-সম্পাদক হিসেবে। ১৯৫১ সালে 'দৈনিক সংবাদের' চিফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম নারী রিপোর্টার। পরে তিনি চিত্রালী, পূর্বদেশ ও দৈনিক বাংলায় কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ১৯৫৪ সাল থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত মাসিক অনন্যার সম্পাদক এবং ১৯৭০ সালে পাক্ষিক বিচিত্রার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অভিনয় জীবন:

পঞ্চাশের দশকে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন ও বেতারে নাটকে কণ্ঠ দেন। ষাটের দশকে তিনি টেলিভিশন নাটক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।১৯৫১ সালে তিনি অভিনয় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে মঞ্চস্থ 'জবানবন্দী' নাটকে। এই নাটকের মাধ্যমে তিনি প্রথম নারী হিসেবে পুরুষদের সঙ্গে অভিনয় করেন। তার অভিনীত দুটি বিখ্যাত নাটক 'ছেঁড়া তাঁর (১৯৫৩)' ও 'কাফের (১৯৫৪)'। তুলসী লাহিড়ী রচিত 'ছেঁড়া তাঁর' নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। তার প্রযোজিত ও পরিচালিত নাটকগুলো হল 'বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ', রেড ল্যান্টার্ন ও হোয়াইট হেয়ার্ড গার্ল ও মা। তিনি চারণিক নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং ছিলেন ঢাকা সিনে ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সংগঠক ও পরে সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফিল্ম ফেডারেশনের সহ-সভানেত্রী।

সাহিত্যিক জীবন:

লায়লা সাহিত্যচর্চা শুরু করেন স্কুলের ছাত্রী থাকাকালীন। তার প্রথম গল্প 'মহিলা' মাসিক পত্রিকা সওগাত-এ প্রকাশিত হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি কবিতা লিখতেন। তার প্রথম প্রকাশিত বই 'আপনার শিশুকে জানুন'। পরবর্তীতে তিনি ছোটগল্পকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তার রচিত গল্পের বইয়ের সংখ্যা ৬টি। এর মধ্যে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে, কুয়াশার নদী, অরণ্যে নক্ষত্রের আলো, অমূর্ত আকাঙ্ক্ষা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া নাটক, শিশুসাহিত্য, ভ্রমণকাহিনী, দিনপঞ্জিসহ তার ৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কিছু প্রবন্ধও লিখেছেন।

পারিবারিক জীবন:

লায়লা সামাদ ১৯৪৬ সালে তার চাচাতো ভাই রাজনীতিবিদ মির্জা আবদুস সামাদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আবদুস সামাদ ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০১৫ সালের ২৯ মে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের এক মেয়ে লিটা সামাদ।

মৃত্যু:

লায়লা সামাদ ১৯৮৯ সালের ১০ অগাস্ট বাংলাদেশের ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে তাকে উত্সর্গ করে কবিতা নিবেদন করেছিলেন কবি সুফিয়া কামাল ও ফজল শাহাবুদ্দীন। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা 'নক্ষত্র পতন' শিরোনামে শোক সংবাদ প্রকাশ করে।

গ্রন্থতালিকা:

নাটক:

বিচিত্রা (১৯৬০)

ছোটগল্প:

দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে (১৯৬৩)

কুয়াশার নদী (১৯৬৫)

অরণ্যে নক্ষত্রের আলো (১৯৭৫)

অমূর্ত আকাঙ্ক্ষা (১৯৭৮)

শিশুসাহিত্য:

ষোল দেশের ষোল কাহিনী (১৯৭৯)

দিনপঞ্জী:

করচা '৭১ (১৯৭৫)

ভ্রমণকাহিনী:

যুক্তরাষ্ট্রের দিন (১৯৮৫)

পুরস্কার ও সম্মাননা:

নুরুন্নেসা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী স্বর্ণপদক - ১৯৭৭

সুফী মোতাহার হোসেন স্বর্ণপদক - ১৯৭৯

বাংলা একাডেমি পুরস্কার - ১৯৮২

হাসান হাফিজুর রহমান স্বর্ণপদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক সম্মাননা- ২০১৪ (মরণোত্তর)

(তথ্যসূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া)

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান তাহলে আমাকে ইমেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি,আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com। চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আবারো কথা হবে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।চাই চিয়ান। (জিনিয়া/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040