হ্যালো চায়না: ৫৬. তুচিয়াং ইয়েন বাঁধ
  2017-01-07 14:13:24  cri

চীনের প্রচলিত একটি কথা হলো, পাহাড় ও সমুদ্রের নিকটবর্তী মানুষের উচিত পাহাড়ি সম্পদ পানির জলজ সম্পদের ওপর নির্ভর করা। অর্থাৎ, নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় জীবন যাপন করার জন্যই উত্সাহিত করা হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে চীনের মানুষ নিজেদের স্থানীয় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার চেষ্টা করেছে। তুচিয়াং ইয়েন বাঁধ হলো এর একটি চমৎকার উদাহরণ। তুচিয়াং ইয়েন বাঁধ স্থানীয় উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে। এরপর পার হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি বছর।

তুচিয়াং ইয়েন ছেংতু সমতল ভূমি পশ্চিমাঞ্চলের মিন চিয়াং নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। ছেংতু সমতল ভূমি উর্বর জমি ও জ্বালানি সম্পদে সমৃদ্ধ। সেজন্য চীনে ছেংতু সমতল ভূমিকে 'থিয়ানফুচিকুও' বলা হয়। 'থিয়ানফুচিকুও' মানে প্রাকৃতিক গুদাম। দু'হাজার বছর আগে কিন্তু ছেংতু সমতল ভূমি সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল না। সেখানে ঘন ঘন বৃষ্টি হতো। আর বেশি বৃষ্টির কারণে দেখা দিত বন্যা। আবার বৃষ্টি কম হলে খরার কষ্টে পড়তো মানুষ। ২৫৬ খ্রিস্টাব্দে ছেংতুর তত্কালীন গভর্নর লি পিং এ পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ও তাঁর ছেলে স্থানীয় জনতাকে নিয়ে মিনচিয়াং নদীতে বিখ্যাত তুচিয়াং ইয়েন বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

মিনচিয়াং নদীর দু'টি শাখা রয়েছে। একটি শাখা ছেংতু বরাবর চলে গিয়েছে, এতে মিনচিয়াং নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে বন্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। কৃষিজমি সেচে শাখা নদীর পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। তুচিয়াং ইয়েন হলো প্রাচীন চীনের সবচেয়ে সফল জলসেচ ব্যবস্থা, যা এখনও পুরোমাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে। একে বিশ্ব জলসেচ সংস্কৃতির উত্স বলে ধরা হয়।

বর্তমানে তুচিয়াং ইয়েন শুধুমাত্র বিশ্বখ্যাত প্রাচীন জলসেচ ব্যবস্থাই নয়, বরং সুন্দর দৃশ্যাবলী ও ঐতিহ্যবাহী উত্তরাধিকারের জন্য দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040