সুর ও বাণী: পশু জগত
  2016-12-30 19:55:15  cri


আমাদের পৃথিবীতে নানা ধরনের পশু ও প্রাণী রয়েছে বলেই এ বিশ্ব হয়ে উঠেছে আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ। আজকের 'সুর ও বাণী' আসরে আপনাদের শোনাবো পশু সম্পর্কিত কয়েকটি গান।

বন্ধুরা, প্রথমে শুনুন তাইওয়ানের ব্যান্ড এস.এইচ.ই এর গাওয়া 'ফার্সি বিড়াল' নামে গান। এ গানটি ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়া এ ব্যান্ডের 'বিস্ময় যাত্রা' নামে অ্যালবামের প্রধান গান। গানের কথা লিখেছেন উ সিয়াং, সুর করেছেন ওয়াং ইয়ে পিং । সে সালে এ গানটি হংকংয়ের টেলিভিশন ব্রডকাস্টস লিমিটেড (টিভিবি)-র সেরা দশটি গানের পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করে। গানে ফার্সি বিড়ালের হাঁটা, ঘুমানো ও চরিত্র বর্ণনা করা হয়েছে এবং তা দিয়ে প্রেমে পড়া ছেলেমেয়ের মনের কথা বলা হয়েছে।

শ্রোতাবন্ধু, আপনি কী কী পশু পছন্দ করেন? বড় আকারের বাঘ, সিংহ, নাকি ছোট আকারের কুকুর, বিড়াল? বেইজিংয়ের অধিবাসীদের বাসায় পোষা প্রাণী হিসেবে বেশি দেখা যায় কুকুর, বিড়াল ও নানা ধরনের মাছ আর ঘুঘু।

বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন 'সারা সাঁতার কাটার মাছ' নামে গান। গেয়েছেন চাং ইয়ু শেং। গানের কথা লিখেছেন শু ছাং দে আর সুর করেছেন চেন চি ইউয়ান। গানে বলা হয়েছে, 'তোমার মনের নদী আমার দিকে বয়ে যাচ্ছে। মাছ এ নদীতে সারা দিন সাঁতার কাটে। আমিও তার মতো সারা দিন তোমাকে মিস করি, কখনো থামি না। সমুদ্র কত বিস্তীর্ণ। সেখানে গেলে আর ফিরে আসতে পারবে না। তোমার মনে আমার জন্য একটি কোণা রেখে দাও।"

শ্রোতাবন্ধু, আপনি কখনো তুষার পাখি দেখেছেন? আমিও দেখিনি, তবে দশ বছর আগে আমি 'তুষার পাখি' নামে গান শুনেছি। এ গানের সুর একটু বেদনাদায়ক। গায়ক সিয়াউ থিয়ান পিং তার অতি সুন্দর কণ্ঠ দিয়ে চমত্কারভাবে এ গানটি পরিবেশন করেছেন। গানে বলা হয়েছে, 'যাযাবর পাখি দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাচ্ছে। বাতাস ছুরির মতো এক একটি দাগ কেটেছে। আমার হৃদয়ে তোমার জন্য রক্ত পড়ে। তোমার পরিত্যক্ত বিশ্বে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করি। আমি দক্ষিণ দিকে যেতে চাই না, আমার চোখের জল ফোঁটা ফোঁটা করে পড়তে থাকে। আমি বিশ্বাস করি না, তুমি সবকিছু ভুলে গেছো।'

বন্ধুরা, আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। এবার আপনাদের শোনাবো চলচ্চিত্র 'শাও লিন মন্দির' এর থিম সং। এ গানটির নাম 'ছাগল পালনের গান'। এ চলচ্চিত্রে একজন সুন্দর রাখালকন্যা ছিল। মেয়েটি ছাগল পালনের সময় প্রায়ই গান করতো। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর এর কাহিনী এবং এ গান খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এ গানটিতে ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর চোখে সুন্দর জন্মস্থানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

গানের কথা এমন, 'ভোর বেলায় ঘন্টাধ্বনি বাজে, উড়ন্ত পাখি ভয় পেয়েছে। বনে সবুজ ঘাস ভরা। ক্ষুদ্র নদীতে পানি চলছে। কুকুর ও ছাগল বনে দৌঁড়ায়। রাখালকন্যা হাতে চাবুক ধরে হালকা করে নাড়ে। তার মিষ্টি কণ্ঠের গান পুরো পাহাড়ে ছড়িয়ে যায়।'

চীনা ভাষার পপ সংগীতের মধ্যে নেকড়ে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গান আছে। সাধারণত গায়কের কণ্ঠে নেকড়ে সম্পর্কিত গান ভালো লাগে। কিন্তু গত বছর 'আমি গায়ক' নামে প্রতিযোগিতায় চীনের গায়িকা চাং লিয়াং ইং হংকংয়ের বিখ্যাত গায়ক চাং শুয়েন ইয়োর গান 'ক্ষুধার্ত নেকড়ের গান' গেয়েছেন। মেয়ে হলেও চাং লিয়াং ইংয়ের কণ্ঠস্বর খুব শক্তিশালী। তিনি চমত্কার করে এ রক সংগীত গেয়েছেন।

বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষে শুনুন ঘোড়া সম্পর্কিত একটি গান। গানের নাম 'হাই, ঘোড়া, তুমি আস্তে আস্তে চলো'। ১৯৮৯ সালে কণ্ঠশিল্পী মা ইয়ু থাও এ গান গেয়ে প্রথম চীনের 'স্বর্ণ ডিস্ক পুরস্কার' লাভ করেন। ১৯৬১ সালে সুরকার শেং মাও  ইয়ুন নান প্রদেশের সিছুয়াংপানানে গিয়ে এ গান সৃষ্টি করেন। গানটিতে দক্ষিণ চীন ও উত্তর চীনের সংগীতের বৈশিষ্ট্য মিশে অতুলনীয় ছন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধুরা, শুনুন 'ঘোড়া, তুমি আস্তে আস্তে চলো' নামে গান।

প্রিয় বন্ধুরা, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের 'সুর ও বাণী' আসর আজকের মতো এখানে শেষ করছি।এ অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবাই। আবার কথা হবে। (ইয়ু/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040