২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বাদ দিয়ে তিনি আইএস এর বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য কুর্দি বাহিনীতে যোগ দেন। সম্প্রতি ভাইস ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাত্কার দেন পালানি। যেখানে তিনি বলেন, আইএস যোদ্ধাদের হত্যা করা খুবই সহজ ব্যাপার। এই সাক্ষাত্কার প্রকাশের পর আইএসের টার্গেটে পড়েছেন তিনি।
সম্প্রতি আইএস এই তরুণীর মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ লাখ ডলার। বর্তমানে জোয়ানা ডেনমার্কে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিরিয়া ও ইরাক অঞ্চলে গিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য মিরর'র এক খবরে বলা হয়েছে, কুর্দিদের পক্ষে লড়াই করা এই তরুণীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে হুমকি পাচ্ছেন। সর্বশেষ আইএস তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন নিজস্ব ওয়েবসাইটে জোয়ানাকে হত্যার জন্য ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তবে পালানি হয়তো হত্যা করা সহজ হবে না। কারণ তাকে কোপেনহেগেনে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
তবে বিচারের বিষয়টি মানতে পারছেন না পালানি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ডেনমার্কের একজন নারী হিসেবে তিনি গণতন্ত্র, নারী অধিকার বিষয়ে ইউরোপের দর্শন শিখে বড় হয়েছেন। সেই দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে কুর্দিদের পক্ষ নিয়ে লড়েছেন তিনি।