হ্যাঁ, নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন পার্টিতে খাওয়া-দাওয়া একটু বেশিই হয়। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি হয়, পার্টি হয় স্বজনদের সঙ্গেও। খাওয়া সমস্যা না, শুধু খানিকটা সাবধান হলেই চলবে।
তো, চলুন দেখা যাক, নববর্ষের খাওয়া-দাওয়ার সম্পর্কে চিকিত্সকদের ৫টি পরামর্শ কী।
পরামর্শ ১: একবারে বেশি খাবার খাবেন না
হ্যাঁ, নববর্ষ উপলক্ষে প্রত্যেক পরিবারের টেবিলে সমৃদ্ধ খাবার থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আনন্দিত পরিবেশে বেশি খাবার খেয়ে ফেলা স্বাভাবিক। এ সময় পেটের ক্ষুধার চেয়ে চোখের ক্ষুধায় আমরা বেশি কাতর হই। তাতে বেশি খাওয়া হয়ে যায় প্রায় ক্ষেত্রেই। কিন্তু এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। চোখে সামনে অতিরিক্ত খাবার বা সুস্বাদু খাবার থাকলেও, আমাদের পরিমিত পরিমাণেই খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে একবারে বেশি খাবার খাওয়া উচিত নয়। বেশি খাবার খেলে আমাদের পাকস্থলির ওপর চাপ পড়বে।
পরামর্শ ২: অতিরিক্ত মদপান করা উচিত নয়
চীনে নববর্ষের পার্টিতে মদ্যপান সাধারণ ব্যাপার। বাংলাদেশেও আজকাল কোনো কোনো পার্টিতে মদ্যপান করা হয়। সবাই জানেন যে, মদে কিছু উপকার আছে। কিন্তু এর অপকারিতাই বেশি। মদ যদি খেতেই হয়, পরিমিত মাত্রায় খেতে বলে চিকিত্সকরা। অতএব অতিরিক্ত মদ্যপান নয়।
পরামর্শ ৩: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে
প্রথমত, খাবার রান্নার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং খাওয়ার আগে হাত ভালো করে ধোয়া। রান্নার আগে, বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি, ফল এবং মাংস ভালো করে পরিষ্কার করা যেমন জরুরি, তেমনি খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধোয়াও জরুরি।
পরামর্শ ৪: খাবারে বেশি তেল ব্যবহার না করা উচিত
অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এমনিতেই পরিত্যাজ্য। নববর্ষের সময় এ নিয়মের কোনো হেরফের হয় না। অতএব নববর্ষের পার্টিতেও অতিরিক্ত তেলসমৃদ্ধ খাবার বর্জন করা উচিত।
পরামর্শ ৫: প্রবীণদের উচিত বেশি শাক-সবজি খাওয়া
বয়স্কদের পাকস্থলীর ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। সুতরাং, বেশি মাংস খেলে তাদের হজমের সমস্যা হয়। তাই, প্রবীণদের উচিত শাক-সবজি বেশি খাওয়া। নববর্ষের দোহাই দিয়ে, তাদের উচিত নয় প্রতিদিনকার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা।
(ঊর্মি/আলিম)