তাঁতে কবিতার শৈল্পিক বিন্যাস
  2016-12-25 19:09:29  cri

জামদানি বাংলার এক অনবদ্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন। এর নক্শার ছন্দে, রঙের বিন্যাসে ফুটে ওঠে তাঁতে শৈল্পিক বিন্যাস। জামদানি পৃথিবীর বয়নশিল্পের ধারাবাহিকতায় কিংবদন্তি হয়ে উঠেছে। ইউনেস্কো জামদানিকে 'ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটজ অব হিউম্যানিটি' ঘোষণা করেছে। এই কারুশিল্পের সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও কারুশিল্পীদের অনুপ্রাণিত করতে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের 'ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন' এর পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। সেই গবেষণার অংশ হিসাবেই গতকাল রবিবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছিল 'জামদানি নক্শা সংরক্ষণ' সেমিনার।

সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির ধারক জামদানিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। এর ডিজাইন, ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা যেমন জরুরি তার জন্য বেশি জরুরি তাঁতিদের পৃষ্ঠপোষকতা। কারণ ভাল জামদানি তৈরিতে যে সময় লাগে সে তুলনায় টাকা খুব কম পান তাঁতিরা। তাই তাঁতিদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার দিকে বেশি নজর দেয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি তাঁতিদের ভর্তুকি মূল্যে ভালমানের সুতা সরবরাহের দাবিও জানান বক্তারা। সেইসঙ্গে গ্রামীণ নারীরা এই জামদানি বোনার দিকে যাতে এগিয়ে আসে সে জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান উদ্যোক্তারা। এছাড়া জামদানি জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন প্রটেকশন 'ল' কার্যকর করা, তাঁতিদের অধিকার রক্ষা, চার শতাধিক তাঁতির সাক্ষাত্কার নিয়ে জামদানির ঐতিহ্য সংরক্ষণ, গবেষণা ও তা বই আকারে লিপিবদ্ধ করার প্রযোজনীয়তার কথাও উঠে আসে সেমিনারে।

প্রতিটি জামদানি অনন্য, কেননা এই কাজ প্রিন্ট বা কপি করা যায় না। জ্যামিতিক নকশার এই কাজ ফুটিয়ে তোলা খুব পরিশ্রমের এবং সময়সাপেক্ষ কাজ। বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য মসলিনের মতই জামদানিও খুব স্পর্শকাতর। এমনকি শীতলক্ষা নদীর তীরে বিশেষ পরিবেশ ও পানির লবণাক্ততার পরিমাণও জামদানির সুতা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো উপাদান কমবেশি হলে জামদানি সুতার মান ঠিক থাকে না। জামদানির নকশাও খুব চমকপ্রদ। এসবের ডিজাইনও শত শত বছর ধরে টিকে রয়েছে বাংলার ঘরে ঘরে। এসবের নামগুলোও খুব আকর্ষণীয়। বটপাতা বুটি, ইয়ারিং বুটি, আঙুললতা পাড়, বাঘের পাড় বুটি, গোলাপছড় পাড়, ইঞ্চি পাড়-করাত তেছরি। গবেষণায়, জামদানির প্রায় ৩৫৯টি ডিজাইন মিলেছে। এর মধ্যে পাড়ের ডিজাইন ৪৫টি, বুটি ৩৩টি, তেছরি ২১টি, জাল ৭টি, ছিটা ৫টি, আঁচল ৭টি, হাইসা ৪টি।

বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের আয়োজনে ও জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ, জাতীয় জাদুঘরের মহাসচিব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন চন্দ্রশেখর সাহা। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী নিসার হোসেন ও ডিজাইনার রুবী গজনভী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প সমন্বয়ক শাহিদ হোসেন শামীম। দুজন তাঁতিও তাদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এরা হলেন আবুল কাসেম ও আব্দুল জব্বার।

রাষ্ট্রদূত স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক তাঁতশিল্প পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। এখানকার মসলিন ও জামদানির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এটা আশ্চর্যের বিষয় যে, তাঁতশিল্পীরা তাদের স্মৃতির মধ্যে জামদানি নকশাকে বংশপরম্পরায় বহন করে চলেছেন। এই হাতে বোনা তাঁতশিল্প এখন সংকটের মুখে। সবার মিলিত উদ্যোগে একে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

চন্দ্রশেখর সাহা বলেন, জামদানি গৌরবের স্মারক। একে টিকিয়ে রাখতে বাজার সম্প্রসারণ, তাঁতিদের সঠিক দাম নিশ্চিত করা, ডিজাইন সংরক্ষণসহ সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

শিল্পী নিসার হোসেন বলেন, তাঁতিদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে না পারলে জামদানি হারিয়ে যাবে। শিল্পীদের আর্থিক নিশ্চয়তা না থাকলে শুধু ভাল কাজ করার সুনাম পাওয়ার আশায় এই বয়নশিল্পে কোনো তাঁতি দীর্ঘদিন টিকে থাকবে না। তাই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পের এই নিদর্শনকে টিকিয়ে রাখতে বাস্তবসম্মত প্রণোদনা প্রয়োজন।

রুবী গজনভী বলেন, জামদানির ডিজাইনের মৌলিকত্বকে রক্ষা করতে হবে। ফিউশন আসবে কিন্তু মূল পরম্পরাকে হারিয়ে ফেললে চলবে না। এ জন্য তাঁতিদের চাইতে যারা অর্ডার দেন তাদের ঐতিহ্যের প্রতি নিবেদিত হতে হবে।

দুজন তাঁতি তাদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে জামদানি তাঁতিদের পুনর্বাসন করে তাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে জামদানি বয়নের কাজে নিয়োজিত করার দাবি জানান।

মিলনায়তনের সামনের উন্মুক্ত অংশে বসেছিল জামদানির ডিজাইনের মেলা। নানা ধরনের সংগ্রহীত ডিজাইন দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে।

দ্বিতীয় পর্ব : বিশ্ব নারীর টুকরো খবর : রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে 'আরো' সময় চান সু চি, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আরো সময় চেয়েছেন মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেলজয়ী রাজনীতিবিদ অং সান সু চি। দেশটির রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ ও ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে, সু চি সোমবার আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের সাথে ইয়াঙ্গুনে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।

বৈঠকে তিনি বলেন, রাখাইন প্রদেশে ত্রাণকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে, কিন্তু তারা সব জায়গায় যেতে পারবে না। আরাকানের যে সমস্ত জায়গায় রোহিঙ্গাদের হত্যা এবং ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে, সে সব জায়গায় প্রবেশাধিকারের সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার চাপে সু চি এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। রোহিঙ্গা সংকটকে সু চি 'মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে মনে করেন। এর আগে তিনি এই বৈঠকটি করতেই রাজি ছিলেন না বরং মুসলিম ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, এটি একটি জটিল বিষয় এবং এর নিষ্পত্তি করার জন্য তার সরকার যা করছে তার সুফল পেতে সময় লাগবে। এক লক্ষের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেবার ব্যাপারে কোন বড় অগ্রগতি হয় নি। সু চি শুধু বলেছেন, ত্রাণ পৌঁছে দেবার প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়া হবে। তবে যেসব জায়গায় সেনারা হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেইসব জায়গায় যাওয়ার ‍সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

'বাণিজ্য বৃদ্ধি-জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় জোর দেব', ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো জোরদারে সর্বাত্মকভাবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী এমপি। একইসঙ্গে জলবায়ু ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা নিশ্চিত করাও হবে তার অন্যতম লক্ষ্য।

সোমবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য দূত হওয়ার পর রুশনারা আলীর এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ খুবই সৃজনশীল ও প্রাণবন্ত। বাংলাদেশের আরো উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্যের চলমান সহযোগিতা আরো জোরদারে আমি বেশি আগ্রহী। দুই দেশ যাতে মজবুত বাণিজ্য সম্পর্কের মাধ্যমে বেশি উপকৃত হয় সেক্ষেত্রেই জোর দেয়া হবে। বাজারের কৌশলগত দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ খুবই ভালো জায়গা বলে মনে করেন তিনি।

লেবার পার্টির এই এমপি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে বলে আমি জানি। এখানে অবশ্যই ভালো অবকাঠামো দরকার। এটা হলে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রভাব ও ভবিষ্যত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে তিনি বলেন, বেক্সিটের পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা হবে। দূতরা মজবুত বাণিজ্য সম্পর্ক গড়তে তাদের ভূমিকা পালন করবে।

আলাপকালে তিনি আরো বলেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর গার্মেন্টস খাতে নিরাপত্তা ও কর্ম পরিবেশের যে উন্নতি হয়েছে সেটা তুলে ধরতে হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে রুশনারা আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিরোধী দলীয় নেতা ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ২৪০টির বেশি কোম্পানি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আর যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্ রপ্তানির দেশ।

ব্রিটেনের রাণীর ৯০তম জন্মদিনের বিশেষ ছবি প্রকাশ, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ব্রিটেনের রানী'র ৯০তম জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখার জন্য তোলা বিশেষ ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। রাণীর ৯০তম জন্মদিন উদযাপনের শেষ দিকে প্রিন্স চার্লস ও রানী এলিজাবেথের এই ছবি তোলা হয়েছিল দিনটি স্মরণীয় রাখার জন্য।

ফ্যাশন ফটোগ্রাফার নিক নাইট বিশেষ এ ছবিটি তুলেছিলেন। ছবিটি তোলা হয়েছিল উইন্ডসর ক্যাসলের ড্রইং রুমে, যেখানে দেখা যাচ্ছে -প্রিন্স চার্লস তাকিয়ে আছেন রানী এলিজাবেথের দিকে, আর রাণী তাকিয়ে আছেন ক্যামেরার দিকে। মে মাসে রানী এলিজাবেথের জন্মদিন অনুষ্ঠানের সবশেষ দিনে 'রয়্যাল উইন্ডসর হর্স শো' এর আগে এই ছবিটি তোলেন নিক নাইট।

নাইট বলছিলেন তিনি এমন কিছু ফ্রেমবন্দী করতে চাইছিলেন যা সম্পর্কে উষ্ণতা প্রকাশ করে, যে ছবির মধ্যে শক্তি ও ঐতিহ্য প্রকাশ পাবে, সেই সাথে মানবতার প্রকাশও থাকবে। চলতি বছরের ২১শে এপ্রিল ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯০ বছরে পা দিয়েছেন।

আফগানিস্তানে গুলিতে বিমানবন্দরের ৫ নারী কর্মী নিহত, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

আফগানিস্তানের কান্দাহারে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে বিমানবন্দরের পাঁচ নারী কর্মী ও তাদের গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শামিম খপালওয়াক জানিয়েছেন, সকালে ঐ পাঁচ নারী মিনিভ্যানে করে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। এসময় একটি মোটরসাইকেলে করে দুই বন্দুকধারী এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে পাঁচ নারী ও ভ্যানের চালক মারা যান।

তৃতীয় পর্ব : সাম্প্রতিক বিশ্ব : ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে হ্যাকিং পরিচালনা করেছেন পুতিন: হিলারি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক দলের পরাজিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, তার প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির বিরুদ্ধে হ্যাকিং পরিচালনা করেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, এই হ্যাকিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করতে রাশিয়া এই হ্যাকিং পরিচালনা করেছে।

মার্কিন নির্বাচনের আগে হিলারির প্রচারণা দলের প্রধান জন পডেস্টার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। সেখানে হিলারির প্রচারণা সংশ্লিষ্ট সব ই মেইল হ্যাকাররা উইকিলিকসকে প্রদান করে যা তারা ফাঁস করে দেয়। সম্প্রতি সিআইএ সহ বিভিন্ন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়ান হ্যাকাররা মার্কিন জনমতে প্রভাব বিস্তারকারী এই ই-মেইলগুলো হ্যাক করে উইকিলিকসকে প্রদান করে। শুধু তাই নয়, দাবি করা হচ্ছে খোঁদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার ম্যানহাটনে দেয়া এক বক্তব্যে হিলারি বলেন ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে এই হ্যাকিং পরিচালনা করেছেন পুতিন। ২০১১ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ে রাশিয়ার নির্বাচনকে 'পাতানো' বলে মন্তব্য করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। সেই মন্তব্যের জন্য পুতিন কখনো তাকে ক্ষমা করেননি। তিনি বলেন, পুতিন জনসম্মুখে আমার সেই মন্তব্যের জন্য আমার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য দিয়েছিলেন। এবং তখন যে কথাগুলো বলেছিলেন সেটা তিনি এই নির্বাচনে করেছেন।

গণমাধ্যম এতদিনে প্রকৃত সত্যটা বুঝতে পারছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম অবশেষে সত্যটা বুঝতে পারছে যেটা আমি প্রচারণার কয়েক মাস থেকে বলে আসছিলাম। এই হ্যাকিংকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর আক্রমণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধু আমার প্রচারণার উপর হামলা ছিল না এটা আমাদের রাষ্ট্রের উপর হামলা। টুইন টাওয়ারে আল কায়েদার হামলার সময় যেমন দুই দলের সিনেটরদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল তেমন কাঠামো অনুযায়ী এর তদন্ত করতে হবে। নিউইয়র্ক টাইমস।

(মান্না)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040