হ্যালো চায়না: ৫৪. বাগান
চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত চারটি বাগান হলো, সামার প্যালেস বা গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ, ছেংদে রাজকীয় গ্রীষ্মকালীন পাহাড়ি ভিলা, জুওচেং বাগান ও লিউ বাগান। প্রতি বছর এ চারটি বাগান দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন। চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের বাগানগুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের বাগানগুলোর বেশিরভাগই হলো, রাজকীয় বাগান। রাজকীয় বাগানগুলো বেশ জমকালো। এগুলোর মধ্যে সামার প্যালেস ও ছেংদে রাজকীয় গ্রীষ্মকালীন পাহাড়ি ভিলা সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময়। সামার প্যালেস, প্রাকৃতিক খুনমিং হ্রদ ও ওয়ানশৌ পাহাড় ঘেরা হাংচৌর পশ্চিম হ্রদের দৃশ্য ও চিয়াংনান বাগানের ধারণা অনুযায়ী একটি কৃত্রিম পাহাড় ও হ্রদ দিয়ে এ উদ্যানটি তৈরি। সামার প্যালেস হলো সম্রাটের অস্থায়ী প্রাসাদ এবং চীনের বৃহত্তম ও সেরা সংরক্ষিত রাজকীয় উদ্যান। দক্ষিণ চীনে অবস্থিত বাগানের বেশিরভাগই হলো ব্যক্তিগত অবকাশ যাপন কেন্দ্র। এর মধ্যে সুচৌ'র বাগানগুলো সবচেয়ে বিখ্যাত। চীনের বিভিন্ন স্থানে তৈরি বাগানগুলোর ওপর সুচৌর বাগানের ধারণা প্রতিফলিত হয়।
সুচৌতে প্রায় একশ'রও বেশি বাগান রয়েছে। বাগানগুলো তৈরির সময় ছোটখাটো বিষয়ের ওপরও খেয়াল রাখা হয়। খোলা চত্তর, উদ্যান ও হ্রদ এবং ফুল, ঘাস ও গাছের সুষম বিন্যাসের প্রতি অনেক খেয়াল রাখা হয়। বাগানে বেড়ানোর সময় অনেক দৃশ্য চোখে পড়বে আপনাদের। পর্যটকরা যে কোনো স্থান থেকেই ঘন বাগানের দিকে তাকাবেন, সেদিক থেকেই গোটা বাগানের দৃশ্য সুন্দরভাবে দেখতে পাবেন। যদি আপনারা চীনা বাগান দেখতে চান, তাহলে সুচৌতে যেতে পারেন। এরমধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও বৈশিষ্ট্যময় হলো চুওচেং বাগান ও লিউ বাগান।
এসব বিভিন্ন কারণে সুচৌর বাগানগুলো চীনা বৈশিষ্ট্যময় বাগানগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুচৌ বাগানগুলোর সাংস্কৃতিক মূল্যও অনেক। ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সুচৌ প্রাচীন বাগানের অনুকরণে মিনস্যুয়ান নামের একটি বাগান তৈরি হয়। বর্তমানে সুচৌর মতো কানাডা, সিঙ্গাপুর, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও স্পেনে ২০টিরও বেশি প্রাচীন বাগান তৈরি হয়েছে।