ইউয়ানআন জেলায় আছে জিনজিয়াওয়ান প্রাকৃতিক দৃশ্য। এখানে দানসিয়ান পিক আছে ৪০টি। পিকের রঙ লাল। এগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। গত সেপ্টেম্বরে এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ উদ্যোগে সামিল হয় সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, সামাজিক সংস্থা ও সাধারণ নাগরিকরা।
অধ্যাপক জিয়াং থিয়ানওয়েনও এই উদ্যোগে অংশ নিচ্ছেন। জিনজিয়াওয়ানের পাহাড়, পানি, ঘাস ও গাছের সাথে তার পরিচিতি অনেক দিনে। এ উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা জরুরি। আমাদের উচিত প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করার পাশাপাশি, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন করা। আমাদের উচিত এ ধারণা নাগরিকদের মধ্যে প্রচার করা।'
অধ্যাপক জিয়াং বলেন, এ কাজে নাগরিকদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। এ কাজটা বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ও সমিতিগুলো করতে পারে। তিনি বলেন, 'যেমন আমাদের জেলে সমিতির কথাই ধরুন। আগে সমিতির তত্পরতা মাছ ধরায় সীমিত ছিল। কিন্তু এখন সমিতি নতুন দায়িত্ব পেয়েছে। এ দায়িত্ব হচ্ছে: নদীতে মাছের ধরণ ও নদীর পরিবেশে পরিবর্তন সম্পর্কে জেলেদের অবহিত করা। গবেষণার মাধ্যমে আমরা নদীর পরিবেশ সম্পর্কে জানতে পারি। এখন এ সমিতি এ ধরণের গবেষণা তত্পরতা চালাচ্ছে। আমরা তাঁদের তথ্য থেকে নদীর পরিবেশ সম্পর্কে জানতে পারছি। সমিতিকে পরিবেশ সুরক্ষার দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে পড়লেই, সমিতি আমাদের সে সম্পর্কে অবহিত করে। এসব হল সামাজিক সংস্থার দায়িত্ব।'
প্রশ্ন হচ্ছে: নাগরিকরা কীভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবেন? এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক জিয়াং বলেন, নাগরিকদের উচিত এ কাজে স্বেচ্ছায় সংযুক্ত হওয়া। প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি মানে নাগরিকদের ক্ষতি। তাই পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের স্বার্থেই নাগরিকদে এগিয়ে আসা উচিত। তিনি আরও বলেন, 'আগে নাগরিকরা এ সম্পর্কে কিছুই জানতো না। পরিবেশ সুরক্ষার জ্ঞানও তাদের ছিল না। কিন্তু এখন সবাই বুঝতে পারেন। সেজন্য সবাই পরিবেশ সুরক্ষার চেষ্টা করেন।'
ইউয়ানআনে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে অধ্যাপক জিয়াং বলেন, এখানে প্রত্যেকে পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্ব জানেন। তাঁরা প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা করতে চান। প্রাকৃতিক পরিবেশের মূল্য অনেক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ইছাংয়ে এখন আর কোনো নাগরিক স্বেচ্ছায় প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে না। আমরা সবাই এ ব্যাপারে সচেতন। আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদেরের স্বার্থ রক্ষা করে, আমাদের কল্যাণে লাগে। আমাদের দানসিয়া প্রাকৃতিক দৃশ্য চমত্কার পর্যটনকেন্দ্র। এটি আমাদের অমূল্য সম্পদ।'