'মধু' সবার কাছে একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম। চীনে মধুর কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। মধু একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ গ্লুকোজ এবং শর্করা ছাড়া প্রোটিন, অজৈব লবণ, অ্যাসিড, বহুমুখী ভিটামিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে ১০টি মধুজাতীয় খাবারের কথা বলা হয়েছে, যা আমাদের সুস্থতা বাড়ানোর জন্য সহায়ক। আজকের জীবন যেমন অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
খাবার ১ : মূলা ও মধু মিশ্রিত খাবার
একটি সাদা মূলা পরিষ্কার করুন। তারপর পানিতে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ মূলা ঠাণ্ডা করার পর একটি পাত্রে ১৫০ গ্রাম মধু দিয়ে আবারও অল্প তাপে রান্না করুন। এ খাবার হজমের সমস্যা, বমি ও কাশি দূর করতে সাহায্য করবে।
খাবার ২ : মধু ও পদ্মের রস
পরিমান মত পদ্ম পরিষ্কার করুন, এবার জুসারে দিয়ে পদ্মের রস তৈরি করুন। এক গ্লাসের পদ্মের রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। খাবারটি খুবই সুস্বাদু। এছাড়া জ্বর এড়াতে এর ভূমিকা বেশ। যাদের তাপস্ট্রোক হয় তারা প্রতিদিনে ২ থেকে ৩ বার এ খাবার খাবেন। এ সমস্যা দূর করতে এ খাবার বেশ সহায়ক।
খাবার ৩ : কমলা ও মধু
কমলা ৫০ গ্রাম এবং ১ থেকে ২ চামচ মধু একসঙ্গে একটি পাত্রে গরম করুন। শোয়ার আগে এই খাবারটি খেলে অনিদ্রার সমস্যা সমাধান হবে। ঘুমের মান বাড়ানোর জন্য খাবারটি বেশ ভালো।
খাবার ৪ : সেলারির রস ও মধু
১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম সেলারি থেকে রস বের করুন। তারপর এতে কিছু মধু দিয়ে খাবারটি তৈরি করুন। প্রতিদিন একবার খেলে যথেষ্ট। এটি লিভার রোগীদের জন্য ভালো।
খাবার ৫ : ফ্লীস-ফ্লাওয়ার রুট (fleece-flower root) ও মধু
ফ্লীস-ফ্লাওয়ার রুট একটি মূল্যবান চীনা ওষুধ। এটি মধুর সাথে মিশালে ওষুধের কার্যকারিতা আরও বাড়াবে। মহাধমনী ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খাবারটি ভূমিকা পালন করতে পারে।
খাবার ৬ : মধু ও রাইস স্যুপ
রাইস স্যুপ তৈরির সময় পাত্রে ১০০ মিলিলিটার মধু দিতে পারেন। খাবার গ্রহণের আগে খালি পেটে এই স্যুপটি খাওয়া উচিত। এটি পেটের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য সহায়ক।
খাবার ৭ : মধু ও দুধ পানীয়
৫০ মিলিলিটার মধু, ৫০মিলিলিটার দুধ এবং ২৫ গ্রাম কালো তিল মিলিয়ে সকালের পানিয় তৈরি করতে পারেন। এটি প্রসূতি মায়েদের জন্য ভাল একটি খাবার। অবশ্য এটি প্রতিদিন সকলের নাস্তার জন্যও একটি ভাল খাবার।
খাবার ৮ : মধু ও আখরোট
১০০০ মিলিগ্রাম মধু, ১০০০ গ্রাম আখরোট এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। আখরোট ভেঙে নিতে হবে। না হলে মধু ভালভাবে আখরোটের ভেতরে ঢুকবে না। এ খাবারটি এজমা রোগীদের জন্য ভাল একটি খাবার।
খাবার ৯ : মধু, মাখন ও রাইস স্যুপ
মাখন ৩০ গ্রাম, রাইস ৫০ গ্রাম। প্রথমে রাইস স্যুপ তৈরি করুন। তারপর এতে মাখন ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এ খাবারটি ফুসফুসের রোগী এবং ত্বকের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য বেশ ভালো।
খাবার ১০ : মধু ও ডিম
ডিম ১ থেকে ২টি, মধু ১ থেকে ২ চামচ। ডিম তেলে দিয়ে গরম করুন। গরম ডিমে সরাসরি মধু দিতে পারেন। একটানা ২ ও ৩ মাস এই খাবারটি খেলে শিশুদের ব্রনকাইটিস সমস্যা ভালো হবে।
(ঊর্মি/মান্না)