ক্ষুধা লাগলে সাধারণত আমরা হাতের কাছে যা পাই, তা-ই খাই। কিন্তু এটা ঠিক না। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। অর্থাত যখন আপনার খুব ক্ষুধা লাগে, তখন এসব খাবার খাওয়ার আগে অন্যকিছু খেয়ে নিন। আজকের 'জীবন যেমন' অনুষ্ঠানে আমরা এমন ৮ ধরনের খাবার নিয়ে আলোচনা করবো।
খাবার ১: পার্সিমন, টমেটো
এগুলোর মধ্যে এক ধরণের যৌগপদার্থ থাকে, যা জ্যাম বা জেলি প্রস্তুত করতে প্রয়োজন হয়। মানুষের পেট যখন খালি থাকে, তখন সেখানে প্রচুর অ্যাসিড সৃষ্টি হয়। খালি পেটে পার্সিমন ও টমেটো খেলে, এসব ফলের যৌগপদার্থ অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এমন এক পদার্থ সৃষ্টি হবে যা সহজে হজম হয় না।
খাবার ২: ঠাণ্ডা পানীয়
খালি পেটে কোনো ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় পান করা উচিত নয়। এতে আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সঙ্কুচিত হতে পারে। এই ক্ষেত্রে মেয়ে বন্ধুদের বেশি সচেতন নেওয়া উচিত।
খাবার ৩: কলা
কলার মধ্যে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম থাকে। খালি পেটে কলা খেলে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ হঠাত বেড়ে যেতে পারে। এতে রক্তে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য ভেঙে যেতে পারে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত ম্যাগনেশিয়াম হার্ট ও রক্তনালীর ক্ষতি করে।
খাবার ৪: হথর্ন ও কমলা
হথর্ন ও কমলার মধ্যে প্রচুর জৈব অ্যাসিড থাকে। খালি পেটে এসব ফল খেলে মানুষের Gastric mucosaর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
খাবার ৫: দুধ ও সয়া দুধ
এই দুটি খাবারে প্রচুর প্রোটিন থাকে। খালি পেটে এই ধরণের খাবার খেলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে। তাই দুধের সাথে বিস্কুট বা রুটি খাওয়া উচিত। আরেকটি কথা, খাদ্যগ্রহণের ২ ঘন্টা পর এবং ঘুমের এক ঘন্টা আগে দুধ ও সয়া দুধ খাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়।
খাবার ৬: চিনি
চিনি খাবার হজমে সাহায্য করে। খালি পেটে প্রচুর চিনি খেলে শরীরে স্বল্প সময়ে পর্যাপ্ত ইনসুলিন সৃষ্টি করতে পারে না। আর পর্যাপ্ত ইনসুলিনের অভাবে শরীরে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
খাবার ৭: দই
খালি পেটে দই খাওয়া ঠিক নয়। এতে দইয়ের কার্যকারিতা নষ্ট হবে। খাদ্যগ্রহণের দুই ঘন্টা পর বা ঘুমের এক ঘন্টা আগে দই খাওয়া ভালো। দই যে শুধু খাবার হজমে সহায়তা করে তা নয়, দুই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
খাবার ৮: মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু একটি পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু, খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে হার্টের ওপর না-হক চাপ সৃষ্টি হয়।
(ঊর্মি/আলিম)