কৌশল ৬: কারণে-অকারণে চোখে ড্রপস্ ব্যবহার করা পরিত্যাগ করুন
বাজারে এমনকিছু আপাত নির্দোষ চোখের ড্রপস্ পাওয়া যায় যেগুলো চোখে দিলে আরাম বোধ হয় এবং ছোটখাট সমস্যা দূর হয়ে যায় বলে মনে হয়। তাই আমরা অনেকেই অতিরিক্ত এ ধরনের ড্রপস্ ব্যবহার করি। এটা ঠিক নয়। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া চোখে কোনো ধরনের ড্রপস্ ব্যবহার করবেন না।
কৌশল ৭: কম্পিউটারের পর্দায় পলকহীন দৃষ্টি ফেলবেন না
হ্যা, অনেকেই কম্পিটারের দিকে পলকহীন দৃষ্টি ফেলেন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আমাদের উচিত মিনিটে অন্তত ১২ থেকে ১৫ বার চোখের পলক ফেলা। যদি আপনি লম্বা সময় ধরে কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তবে আপনার চোখের পলকের সংখ্যা কমে যাবে। এটা চোখের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং, কম্পিউটার , টেলিভিশন বা মোবাইলফোনের স্ক্রিনের দিকে এক টানা তাকিয়ে থাকবেন না। মাঝে মাঝে দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরান। ভাল হয় যদি দূরের আকাশের দিকে বা সবুজ কোনোকিছুর দিকে মাঝেমাঝে তাকান।
কৌশল ৮: গোসলের সময় কন্টাক্ট লেন্স খুলে রাখুন
অনেকে কন্টাক্ট লেন্স না-খুলেই গোসলে ঢুকে যান। স্বাধারণত তারা লেন্স খুলে রাখার ঝামেলা পোহাতে চান বা বেখেয়ালে এটা করেন। এ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। আরেকটি কথা, গ্রীষ্মকালে ও বসন্তে যখন বাতাসের গতি বেশি থাকে, তখন কনটাক্ট লেন্স না-পড়ার বা কম পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চোখের বিশেষজ্ঞরা।
কৌশল ৯: সাঁতারের সময় চোখে গগল পড়ে নিন
এতে আপনার চোখ নিরাপদ থাকবে। অনেকে পানির নিচে ডুব দিয়ে চোখ খুলে তাকান। এটা চোখের জন্য ভাল নয়। এতে পানির ময়লা চোখে প্রবেশ করে চোখের ক্ষতি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে গগল ব্যবহার করা নিরাপদ।
কৌশল ১০: ধূমপান ত্যাগ করুন
হ্যা, আগের অনুষ্ঠানগুোতে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আমরা তো অনেক আলোচনা করেছি। ধূমপান চোখেরও ক্ষতি করে থাকে। প্রতিদিন যারা গড়ে ২০টি সিগারেট খেয়ে থাকেন, তাদের অধূমপায়ীদের তুলনায় ছানি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ। ধূমপায়ীদের চোখ অন্য অনেক ছোটভাট সমস্যায়ও পড়তে পারে।
এছাড়া, সময়মতো চোখ পরীক্ষা করান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, চোখের দৃশ্যমান কোনো সমস্যা না-থাকলেও আমাদের উচিত নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো। বছরে দু'বার বা অন্তত একবার চোক পরীক্ষা করানোর কথা বলেন তারা। বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা অনেক বেশি জরুরি।
(ঊর্মি/আলিম)