1028china

২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক গেমসের সফল আয়োজনের মাধ্যমে অনেকেই 'বার্ড নেস্ট' ও 'ওয়াটার কিউব'-এর নাম মুখস্থ করে ফেলেছেন এবং সুন্দর শহর-পেইচিংকে বেশ ভালোভাবেই চিনেছেন। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের রয়েছে তিন হাজার বছরেরও বেশি ইতিহাস। অনেক বন্ধু বেইজিংয়ে এসে এর মায়ায় আবিষ্ট হয়ে পড়েন। তারা কি কি বিষয়ের কারণে বেইজিংকে ভালোবাসেন ?

বেইজিং সংস্কৃতি: ইতিহাসে বেইজিং পাঁচটি রাজবংশের রাজধানী। এসব রাজবংশের অনেক রাজপ্রাসাদ, বাগান, মন্দির ও সমাধিক্ষেত্র রয়েছে এখানে। শুধু নিষিদ্ধ নগর, মহাপ্রাচীর, সামার প্যালেস বা গ্রীষ্মপ্রাসাদের মতো ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানই যে আছে তা কিন্তু নয়, বরং পেইচিংয়ের বৈশিষ্ট্যময় সি হো ইউয়ান ও হু থোংও আছে। পেইচিংয়ের হু থোংয়ে ঘুরে বেড়ানো, ও সি হো ইউয়ানে থাকা, বড় বাটিতে চা খাওয়া, পেইচিং অপেরা দেখার মত প্রাচীন বৈশিষ্ট্যময় ছোঁয়ার কারণে অনেকর মতো আপনিও পেইচিংকে ভালোবাসতে বাধ্য হবেন।

পেইচিংয়ের হালকা ধরনের খাবার: বিশাল চীনের বিভিন্ন স্বাদের হালকা খাবার পাবেন পেইচিংয়ে। এছাড়া রয়েছে বৈচিত্র্যময় হালকা খাবার। পেইচিংয়ের নিজস্ব ঢংয়ের খাবারের মধ্যে রয়েছে সিমের বীচি থেকে তৈরি বিশেষ ধরনের পানীয় (a fermented drink made from ground beans), বিভিন্ন ধরনের প্রকিয়াজাতকরণ ফল (preserved fruit), মিছরি মাখানো ফলের স্টিক, মিষ্টি পুডিং (Beijing sweet pease pudding), সয়াবিন দিয়ে তৈরি আঠালো রাইসরোল (Lvdagunr RiceBean Flour: also called Pastry Made of Soybean Flour) এবং আরো বিভিন্ন ধরনের হালকা খাবার। তা ছাড়া অবশ্যই পিকিং ডাকের কথা বলতেই হয়।

পেইচিংয়ে কেনাকাটা: জেড পাথরের শিল্পকর্ম, রেশমি কাপড়, মাটি দিয়ে তৈরি পুতুল, পেইচিং অপেরার মুখের প্রসাধনী, ঘুড়ি, কাগজ কাটাসহ সস্তা কিন্তু গুণগত মানসম্পন্ন পেইচিংয়ের বৈশিষ্ট্যময় পণ্যদ্রব্য সবই বন্ধু ও আত্মীয়কে দেয়ার মতো শ্রেষ্ঠ উপহার। যদি আপনি প্রাচীনকালের জিনিস সম্পর্কে বেশ আগ্রহী হন, তাহলে বিখ্যাত লিউলিছাং বা ভানচিয়াইউয়ানের প্রাচীন বাজারে ঘুরে বেড়াতে পারেন। আর সিউসুই স্ট্রিটের কাপড়ের পাইকারি বাজার অনেক বিদেশিদের পছন্দের জায়গা। কখনও কখনও সেখানে চীনাদের চেয়েও বেশি বিদেশি মানুষ চোখে পড়বে আপনার।

পেইচিং প্রাচীন হলেও বেশ তরুণ একটি শহর। তার আকর্ষণীয় নানা দিক রয়েছে। প্রিয় বন্ধু, যদি আপনার মন চায়, তাহলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি পেইচিংয়ে আসুন।