খাবার ১ : মুরগির মাংস : মুরগির মাংসের মধ্যে প্রোটিনের পরিমান বেশি। রাতে ঘুমের আগে অতিরিক্ত মুরগির মাংস খেলে আপনার ঘুমের গুণগত মান কমে যাবে। কারণ এ সময় শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হজমের কাজে ব্যস্ত থাকে। সুতরাং ডিনার গ্রহণে বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব, শর্করা ও প্রোটিন জাতীয় খাবার একই সঙ্গে খাওয়া। এটি ঘুমের গুণগত মানের জন্য ক্ষতিকর নয়।
খাবার ২ : হ্যামবার্গার : হ্যামবার্গার খেলে ঘুমের গুণগত মানের ওপর প্রভাব বেশি ফেলে। কারণ হ্যামবার্গারের মধ্যে চর্বির পরিমান অনেক বেশি। হ্যামবার্গার খেলে আমাদের পেটে অতিরিক্ত অম্ল সৃষ্টি হয়। এটি হার্টে চাপ সৃষ্টি করে। সুতরাং হ্যামবার্গার ডিনারে না খাওয়াই ভাল। যদি খেতে চান তাহলে লাঞ্চের সময় খান।
খাবার ৩ : মদ পান করা : বিভিন্ন মদের মধ্যে অ্যালকোহল রয়েছে। অ্যালকোহল ঘুমের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত মদ্যপান করলে শরীরে তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে নেমে যায় এবং রাতে প্রস্রাব করার পরিমানও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। নেশাগ্রস্ত হলে কেবল যে ঘুমের সময় নাক ডাকা হয় তা নয় তা আপনার পাশে শুয়ে থাকা স্ত্রী বা স্বামীর ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও ফেলে।
খাবার ৪ : কফি : কফির মধ্যে প্রচুর ক্যাফিন রয়েছে। ক্যাফিন সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম বা সিএনএসের জন্য উদ্দীপনাদায়ক হয়। ঘুমের আগে কফি খেলে ঘুমের ওপর তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ডার্ক চকলেট : ডার্ক চকলেটের মধ্যে ক্যালরির পরিমান বেশি এবং ক্যাফিনের পরিমানও বেশি। ঘুমের আগে ডার্ক চকলেটে খেলে ঘুমের গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলে।
কার্বনেটেড পানীয় : কার্বনেটেড পানীয় খাবারের মধ্যে সোডিয়াম টলিউইন্ রয়েছে। এই পদার্থ অনিদ্রা সৃষ্টি করতে পারে। সেই সঙ্গে এই ধরণের পানীয় খাবারের মধ্যে ক্যাফিনের পরিমানও বেশি।
শক্তিবর্ধক পানীয় : এখন বাজারে 'রেড বুল'সহ নানা রকমের পানীয় দেখা দেয়। এই ধরণের পানিয় পান করলে শরীরে হয়তো হঠাত্ করে শক্তি বেশি জমে। কিন্তু এগুলো রাতে ঘুমের আগে খাওয়া যায় না। এসব পানিয় আপনার ঘুমের মান বাড়ানোর জন্য সহায়ক নয়।
মসলা জাতীয় খাবার : মসলা জাতীয় খাবার খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি না, মসলা জাতীয় ভারি খাবার ডিনারে না খাওয়ার প্রস্তাব করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ডিনারে বেশি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার নেই। খাবারের স্বাদও হালকা থাকা উচিত।
(উর্মি/মান্না)