দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ১৪ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকা এসে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। বিমান বন্দের ২১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় প্রেসিডেন্ট সি'কে। লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনারে বিশেষ সম্মান জানানো হয় তাকে। প্রেসিডেন্ট সি'র সফরকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় রাজধানী। নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঢাকায় পৌঁছেই একটি বিবৃতিতে সি চিন পিং বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে। একই দিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগী থেকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ঘোষণা দেন। 'এক অঞ্চল এক পথ' ধারণায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান চীনের প্রেসিডেন্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের এ সফরকে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা বলে অভিহিত করেন। একই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভনে বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তার সম্মানে রাষ্ট্রপতির দেয়া নৈশভোজে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট সি। বাংলাদেশের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। পরদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। বিমান বন্দরে তাকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।