বেশি ফল খাওয়া, কম চিনি খাওয়া
আমরা জানি, বেশি চিনিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কিন্তু বেশি ফল খেলে মস্তিষ্ক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। এমন কি, বেশি ফল খাওয়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। সুতরাং, যদি আপনি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে চান, তাহলে আপনার সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
বেশি চা পান করা, কম ধূমপান করা
চা পান করার উপকারিতা অনেক বেশি। যেমন, শরীরের ক্লান্তি দূর করতে, লিভার পরিষ্কার রাখতে, চোখ উজ্জ্বল রাখতে, সৌন্দর্য বজায় রাখতে, দীর্ঘায়ু হতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। তবে ধূমপান শরীরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। বেশি ধূমপান করলে যে কোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
বেশি পানি পান করা, কম মদ্য পান করা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝে মাঝে একটু গরম পানি পান করা শরীরের সুস্থতার জন্য ভাল। এটি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে উঠে এক কাপ পানি পান করা দীর্ঘায়ু অর্জনের জন্য সহায়ক। অন্যদিকে, বেশি বা অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্য পান করলে, আপনার পাকস্থলী বা পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে, সমস্যা দেখা দিতে পারে গ্যাস্ট্রিক আলসার ও পাকস্থলীতে। আরেকটি কথা, মদ্য পান করার পর গর্ভবতী হলে মায়ের পেটের শিশু ঝুঁকি নিয়ে বড় হতে পারে।
বেশি শাক-সবজি খাওয়া, কম মাংস খাওয়া
বেশি মাংস খেলে রক্তের লিপিড ও ঘনিষ্ঠতার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ওজনও স্বাভাবিক মান ছাড়িয়ে যায়। শাক-সবজি বেশি খান, এটি খেতে সুস্বাদু আর উপকারিতাও অনেক। যেমন রক্তনালী নরম করা, কৈশিক নাড়ীর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করা এবং সৌন্দর্য বজায় রাখা প্রভৃতি।
খাবার কম খাওয়া, বেশি চিবানো
চিবানো হজমের জন্য একটি ভাল বাছাই। এতে যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম এবং তা সুস্থতার জন্য সহায়ক। খাদ্য কম খাওয়ার মানে হলো খাদ্যগ্রহণের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া এবং প্রত্যেকবারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া। এভাবেই আমাদের পাকস্থলীর চাপ হ্রাস করা যায়।
বেশি হাসা, কম রাগ করা
রাগ করা আমাদের শরীরের সুস্থতার ক্ষতিকর। রাগ করলে নিশ্চয়ই আমাদের মেজাজ ভাল রাখা সম্ভব হবে না। এটি মানুষের ভারসাম্যতা ভেঙে দেয়। রাগ আপনার দীর্ঘায়ুর জন্য সহায়ক নয়। সুতরাং, হাসার চেষ্টা করুন। মনে কষ্ট পেলেও সুস্থতা বাড়ানোর জন্য মুখে হাসার চেষ্টা করা উচিত।
বেশি ঘুমানো, কম চিন্তা করা
যথেষ্ট ঘুম মানুষের সুস্থতার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সবাই বুঝতে পারেন। ঘুম যথেষ্ট না হলে, আমরা নিত্যদিনের কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারি না। সাবধান না হলে যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যে কোনো কাজে বেশি চিন্তা বা দুঃখ করার প্রয়োজন নেই। কারণ, যতই দুঃখ হোক না কেন, বাস্তবতা তো পরিবর্তন করতে পারবেন না। নিজের মেজাজ নিজ চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
বেশি গোসল করা, কম কাপড় পরা
গোসল করা আমাদের শরীরে ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক। গোসল করার উপকারিতা আগের অনুষ্ঠানে আমরা তো অনেকবার বলেছি। আবহাওয়া ঠাণ্ডা হলে অনেকেই বেশি কাপড় পরতে পছন্দ করেন, অবশ্য এই ক্ষেত্রে বেশি কাপড় পরা প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত বেশি পরলে, আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাইরের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সামর্থ্য দুর্বল হয়। সুতরাং, আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে বা নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কম পরিমাণের কাপড় সমন্বয় করা যথেষ্ট, অতিরিক্ত ঠিক না।
বেশি শরীর চর্চা করা, কম ওষুধ খাওয়া
একজন মানুষের সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে আত্মরক্ষার ওপর, চিকিত্সকের দেয়া ওষুধে নয়। শরীরের সুস্থতার পাশাপাশি মানবিক সুস্থতাও সমান জরুরি।
বেশি ব্যায়াম করা, কম বন্ধ করা
প্রাণ ব্যায়ামের সঙ্গে জড়িত, ব্যায়াম দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কল্যাণকর। অলসতা সফলতার জন্য সহায়ক নয়। সুতরাং, ব্যায়াম বন্ধ বা থামানো উচিত নয়। এতে শরীরের কোনো লাভ নেই।
(ওয়াং হাইমান ঊর্মি)