প্রেসিডেন্ট সি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত সাগর সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল দেশ। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে হাজার বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান রয়েছে, দু'দেশের জনগণের মৈত্রীও ঘনিষ্ঠ। গত শতাব্দীর পঞ্চম দশকে দু'পক্ষের প্রবীণ নেতৃবৃন্দ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেন। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি অনুসরণ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে উন্নত হয়েছে এবং বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা দু'দেশের জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণ বয়ে এনেছে। চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত ইস্যুতে বাংলাদেশের সকল সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় চীন এবং দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন আর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।
সি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের সম্মুখীন। এবার সফরকালে দু'পক্ষের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য তৈরি হয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্কে উন্নীত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,যাতে দু'দেশের সম্পর্ক নতুন ধাপে এগিয়ে যায়। এ ছাড়া, বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা ব্যবস্থাপনা পূরণ, গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রকল্প নির্মাণে যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালানো, দু'দেশের জনগণের কল্যাণ এবং এ অঞ্চলের পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিনিময় আর অভিন্ন সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে দু'পক্ষ। সেই সঙ্গে ২০৩০ আলোচ্যবিষয় বাস্তবায়ন ও দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতায় নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে দু'দেশ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আন্তরিকভাবে প্রেসিডেন্ট সি'র ঢাকা সফরের অপেক্ষা করেছেন। দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী গভীর, পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে স্থাপিত সম্পর্ক চিরদিন থাকবে। প্রেসিডেন্ট সি'র এবারের সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং বাংলাদেশের প্রথম কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারে পরিণত হয়েছে চীন। দু'দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অনেক মিল রয়েছে। বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানিসম্পদ আর অবকাঠামো নির্মাণে দু'দেশের সহযোগিতার সুপ্তশক্তি বেশি। চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত ব্যাপারে সমর্থন দেবে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে সমন্বয় জোরদার করবে দু'দেশ। (সুবর্ণা/টুটুল)