শি'র সফরে নতুন যুগের সূচনা: হাসিনা
  2016-10-13 15:06:04  cri

(bdnews24 খবর) আগামী শুক্রবার শি'র বাংলাদেশ সফরের তিনদিন আগে একথা বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, "শি বাংলাদেশে আসছেন এজন্য আমরা খুব খুশি এবং সম্মানিত বোধ করছি। আমি বিশ্বাস করি শি'র সফর দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে।"

চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ভালো প্রতিবেশীসুলভ মানসিকতা, পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা-এই পাঁচ মূলনীতির ওপর দুই দেশের সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে।

বাংলাদেশ এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী জানিয়ে তাদের মৌলিক জাতীয় স্বার্থ এবং এর সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষায় বেইজিংকে সমর্থনের কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ইতিহাসের এমন এক সময়ে শি'র সফর হচ্ছে যখন বাংলাদেশ 'নিচু স্তরের ভারসাম্য ফাঁদ' ভেঙে সবার জন্য সমৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব নীতি বাস্তবায়ন এবং বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের নতুন ক্ষেত্র হয়ে ওঠার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

"চীন আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী অংশীদার এবং আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীনকে আমরা একটি আস্থাশীল অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের অনেক মেগা-প্রকল্পে অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ক্ষেত্রে চীনই প্রধান ভূমিকায়।"

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্র ছুঁয়েছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।

"বহু প্রতীক্ষিত শি জিনপিংয়ের সফরে আমরা এই সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।"

গত কয়েক দশকে দুই দেশের সহযোগিতা একটি পরিণতির দিকে গেছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তবে অবকাঠামো উন্নয়ন, আইসিটির মতো উদীয়মান খাত ও ইলেকট্রনিকসের মতো ক্ষেত্রগুলোতে দুই দেশের সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে বিস্তৃত করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

চীন প্রস্তাবিত 'ওয়ান-বেল্ট, ওয়ান রোড' উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি অংশের যোগাযোগ তৈরিতে তারা এখন কাজ করছেন। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি একক অর্থনৈতিক যোগাযোগ তৈরিতেও তারা কাজ করছেন।

এটা পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর যোগাযোগ তৈরির পাশাপাশি দক্ষিণের সমুদ্র বন্দরগুলোর মাধ্যমে তিনটি ইকোসিস্টেমকে বাকি বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্য চীনের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।

বস্ত্র, চামড়া, পেট্রোকেমিকেল, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণের মতো বাংলাদেশের উদীয়মান খাতগুলোতে চীনা কোম্পানির বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন তিনি।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040