তখনই বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঋণ সহায়তার এই চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা, টাকার অঙ্কে তা চলতি অর্থবছরের বাজেটের সমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প এবং জীবনমান উন্নয়নে এই অর্থ দিতে চায় চীন। তবে এখনও ঋণের শর্ত ও সুদহার নির্ধারণ করা হয়নি।
বিশাল অঙ্কের এই ঋণে আপত্তি না থাকলেও শর্ত যেন কঠিন না হয়, সে দিকে দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
অঙ্ক খোলাসা না করলেও অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় রেকর্ড পরিমাণ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।"
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চীনমুখী অর্থনীতিতে মনোযোগী। চীনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ব্রিকস ব্যাংকেও যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।
এছাড়া পাঁচ প্রকল্পে অর্থের অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি; সেগুলো হচ্ছে- 'চায়না অর্থনৈতিক ও শিল্প জোন চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প', 'বাংলাদেশ গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক', 'চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রজেক্ট', 'ড্রেনেজে এন্ড সলিড ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট ফর স্মল সাইজ পৌরসভা', 'রিপ্লেস অব ওভারলোডেড ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার ফর প্রোভাইডিং রিলায়েবল ইলেক্ট্রিসিটি ইন আরই সিস্টেম'।