সময় এবং স্থান জুড়ানো সংলাপ
  2016-10-18 10:24:32  cri

সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া।

এখন শুনুন 'সময় এবং স্থান জুড়ানো সংলাপ' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ।

চীনের বিখ্যাত লেখক থাং সিয়েন চু ও ব্রিটেনের বিখ্যাত নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের মৃত্যুর ৪০০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মৃতি রক্ষা এবং চীন ও বিশ্ব সংস্কৃতির অভিন্ন উন্নয়নের জন্য 'সময় এবং স্থান জুড়ানো সংলাপ' শীর্ষক একটি প্রদর্শনী ২৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে চীনা সংস্কৃতি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত ছিও কুও হং, সাংস্কৃতিক কাউন্সিলার, সিউলে চীনা সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক সি রুই লিন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ইইউ'র রাষ্ট্রদূত হ্যাডেস সাবাথির, ব্রিটেনের সাংস্কৃতিক কলেজের পরিচালক মার্টিন ফ্লায়ার,দক্ষিণ কোরিয়া-চীন সাংস্কৃতিক বিনিময় সমিতির চেয়ারম্যান থাইহুয়ান লিসহ প্রায় এক'শজন ব্যক্তি উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ছিও এক ভাষণে বলেন, চলতি বছর হলো চীনের বিখ্যাত লেখক থাং সিয়েন চু ও ব্রিটেনের বিখ্যাত নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের মৃত্যুর ৪০০তম বার্ষিকী।

২০১৫ সালে অক্টোবর মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং লন্ডন সফরকালে প্রস্তাব করেন যে, চীন-ব্রিটেন অভিন্ন স্মৃতিরক্ষা অনুষ্ঠান আয়োজন করে দু'দেশের জনগণের বিনিময় এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং উভয়ের সমঝোতা গভীর করবে। লেখক থাং সিয়েন চু ও উইলিয়াম শেক্সপিয়ার নিজের দেশের, কিন্তু একই সঙ্গে তারা বিশ্বেরও সম্পদ। এবার তাদের স্মৃতিরক্ষার জন্য সাংস্কৃতিক মাস আয়োজিত হয়েছে, তা তাদের স্মৃতিরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতিও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আশা করেন, এবারের সাংস্কৃতিক মাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে চীন-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক আরো উন্নয়ন হবে। সাংস্কৃতিক শক্তির নেতৃত্বে সমাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাস্তবায়িত হবে। উভয়ের সমঝোতা ও আস্থার উন্নয়ন হবে।এক শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করবে।

চীন-দক্ষিণ কোরিয়া সাংস্কৃতিক বিনিময় সমিতির চেয়ারম্যান থাইহুয়ান লি এবারের তত্পরতার উচ্চ মূল্যায়ন করেন। তিনি মনে করেন, থাং সিয়েন চু বিশ্বের সাংস্কৃতিক মহলের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। থাং'র সাহিত্যকর্মে মানুষের মনের আবেগ ফুটে উঠেছে। তিনি আশা করেন, এবারের সংলাপ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় উন্নত হবে, দু'দেশের পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রী গভীর হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্রিটেনের সাংস্কৃতিক কলেজের পরিচালক মার্টিন ফ্লায়ার বলেন, ১৬ শতাব্দীর শেষে ১৭ শতাব্দীর প্রথমে চীন ও ব্রিটেনের দু'জন মহা শিল্পীর স্মৃতিরক্ষার জন্য এ সাংস্কৃতিক মাসসহ ধারাবাহিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। দু'জন শিল্পীর সাহিত্যকর্মে মানব আত্মা দেখা যায়। এ অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে।

সাংস্কৃতিক কাউন্সিলার, সিউলে চীনা সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক সি রুই লিন বলেন, এবারের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সমর্থন রয়েছে। এ অনুষ্ঠান দু'জন শিল্পীর স্মৃতিরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব-পশ্চিম সংস্কৃতি বিনিময়ও এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং পারস্পরিক সমঝোতাও গভীর হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষের পর অতিথিরা এক সাথে প্রদর্শনী দেখেন। প্রদর্শনীতে ঐতিহ্যিক পদ্ধতি ছাড়া নতুন প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।গভীরভাবে দু'জন শিল্পীর জীবনের অভিজ্ঞতা ও সাহিত্যিক সাফল্য প্রদর্শিত হয়েছে। সিউলে চীনা সংস্কৃতি কেন্দ্র এবার অনুষ্ঠানের জন্য চীনা ভাষা, ইংরেজি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষায় প্রদর্শনী প্রস্তুত করে।

এবার প্রদর্শনী আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চীন-দক্ষিণ কোরিয়া সাংস্কৃতিক বিভাগ, সিউলে চীনা সংস্কৃতি কেন্দ্র, বেইজিং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তা ছাড়া, বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও সমর্থন দিয়েছে। এবার সাংস্কৃতিক মাস ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে, অক্টোবর মাসের শেষ দিকে শেষ হবে। এতে ভিডিও প্রদর্শনী, ছবি প্রদর্শনী, বিভিন্ন পরিবেশনা ও আলোচনাসভা রয়েছে।

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক

সৈয়দ শামসুল হক (২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি সাহিত্যিক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাঁকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়। তার লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছর। সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান; বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার লাভ করেছেন। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

প্রাথমিক জীবন

সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের বড় সন্তান।

শিক্ষা জীবন

সৈয়দ হকের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। সেখানে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুলে। এরপর ১৯৫০ সালে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে সৈয়দ শামসুল হক ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সৈয়দ শামসুল হকের পিতার ইচ্ছা ছিলো তাকে তিনি ডাক্তারি পড়াবেন। পিতার ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে তিনি ১৯৫১ সালে বম্বে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বছরখানেকের বেশি এক সিনেমা প্রডাকশন হাউসে সহকারি হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে জগন্নাথ কলেজে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হন। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে স্নাতক পাসের আগেই ১৯৫৬ সালে সেখান থেকে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে বেরিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর তাঁর প্রথম উপন্যাস দেয়ালের দেশ প্রকাশিত হয়।

কর্মজীবন

শামসুল হক তার বাবা মারা যাবার পর অর্থকষ্টে পড়লে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। পরে তোমার আমার, শীত বিকেল, কাঁচ কাটা হীরে, ক খ গ ঘ ঙ, বড় ভাল লোক ছিল, পুরস্কারসহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেন। বড় ভাল লোক ছিল ও পুরস্কার এই দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে বিবিসির বাংলা খবর পাঠক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসর্মপণের খবরটি পাঠ করেছিলেন। পরে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বিবিসি বাংলার প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাহিত্যকর্ম

সৈয়দ শামসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী তাঁর রচিত প্রথম পদ তিনি লিখেছিলেন এগারো-বারো বছর বয়সে। টাইফয়েডে শয্যাশায়ী কবি তাঁর বাড়ীর রান্নাঘরের পাশে সজনে গাছে একটি লাল টুকটুকে পাখি দেখে দুলাইনের একটি পদ "আমার ঘরে জানালার পাশে গাছ রহিয়াছে/ তাহার উপরে দুটি লাল পাখি বসিয়া আছে" রচনা করেন। এরপর ১৯৪৯-৫০ সালের দিকে ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরে ব্যক্তিগত খাতায় ২০০টির মতো কবিতা রচনা করেন। সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৫১ সালের মে মাসে। ফজলে লোহানী সম্পাদিত 'অগত্যা' পত্রিকায়। সেখানে 'উদয়াস্ত' নামে তাঁর একটি গল্প ছাপা হয়।

কবিতা

সৈয়দ হকের কবিতায় রয়েছে গভীর অনুপ্রেরণা। তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ একদা এক রাজ্যে ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়। পরে বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা, পরাণের গহীন ভেতর, নাভিমূলে ভস্মাধার, আমার শহর ঢাকা, বেজান শহরের জন্য কেরাম, বৃষ্টি ও জলের কবিতা কাব‌্যগ্রন্থগুলো তাকে পাঠকমহলে জনপ্রিয় করে তুলে। সৈয়দ হক মৃত্যুর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তার শেষ কবিতা লিখেন। কবিতার নাম আহা,আজ কি আনন্দ অপার!।

উপন্যাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৫৬ সালে প্রথম উপন্যাস দেয়ালের দেশ প্রকাশিত হয়। তার রচিত এক মহিলার ছবি (১৯৬১), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪) উপন্যাসগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। ষাটের দশকে তার রচিত উপন্যাসগুলো পূর্বাণী পত্রিকায় ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হত। তার রচিত খেলারাম খেলে যা উপন্যাসকে অনেকে যৌনআশ্রিত বলে আখ্যা দেন। তিনি উপন্যাসের ভূমিকায় এই উপন্যাসকে 'এদেশের সবচেয়ে ভুল বোঝা উপন্যাস' হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কাব্যনাট্য

সৈয়দ হক নাট্যকার হিসেবে সফলতা পেয়েছেন। বিবিসি বাংলায় নাটকে কাজ করার মাধ্যমে তিনি নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান। তার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নাটকে ধর্মীয় বিষয়ে মানুষের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তার পরের নাটক নুরুলদীনের সারাজীবন ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত। সৈয়দ হক তার রচনায় সমসাময়িক বাংলাদেশ এবং মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি ও ভাল-মন্দ দিকগুলো তুলে ধরেন। তার অন্যান্য নাটক নারীগণ, যুদ্ধ এবং যোদ্ধা, ঈর্ষা, এখানে এখন-এ সমকালীন বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।

পারিবারিক জীবন

সৈয়দ হক প্রথিতযশা লেখিকা ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হককে বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।

মৃত্যু

২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিলে তাকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে পরীক্ষায় তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে।সেখানে চিকিত্সকরা তাকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়। চার মাস চিকিত্সার পর ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (১২ আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ) ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার (১২ আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ) চ্যানেল আই টেলিভিশনের তেজগাঁও চত্বরে সকাল ১০টায় প্রথম দফা জানাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দুপুর ২টায় দ্বিতীয় দফা জানাজা এবং অপরাহ্নে কুড়িগ্রামে তৃতীয় দফা জানাজা শেষে তার মরদেহ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের পাশে দাফন করা হয়।

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।

চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040