0918nvxing
|
ইভা'র শৈশব কেটেছে রাদম শহরে। সেখানেই তিনি হাইস্কুল থেকে স্নাতক পাশ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি লুবলিনা মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করেন। এরপর তিনি অরিওস্কো ও ফ্লেবিস্কা গ্রামের ক্লিনিকে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সেদুয়াভিয়েজ শহরে কাজ করেন।
গত শতাব্দির আশির দশকে তিনি ইউনাইটেড পিপলস্ পার্টিতে যোগ দেন। নব্বইয়ের দশকে তিনি ফ্রিডম ইউনিয়নে যোগদেন এবং রাদম প্রদেশের চেয়ারপারসন নিযুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের স্থানীয় নির্বাচনে আঞ্চলিক কাউন্সিল তাকে মেসোভিয়ান ভইভেডশিপ প্রদেশের কাউন্সিলার নির্বাচিত করে। ২০০১ সালে তিনি ফ্রিডম ইউনিয়ন ত্যাগ করে নবগঠিত মধ্যডানপন্থী সিভিল প্ল্যাটফর্ম পলিটিক্যাল পার্টিতে যোগ দেন।
২০০৫ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান হন। একই সঙ্গে তিনি সিভিল প্ল্যাটফর্ম-এর মেসোভিয়া প্রদেশের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি প্রথমবারের মতো পোল্যান্ড সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৫, ২০০৭ এবং ২০১১ সালে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে পুন:নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। তিনি পোল্যান্ডের প্রথম নারী স্পিকার। এর আগে তিনি ২০০৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগে হানা সাচোকা দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে ইভা পেশায় ছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ।
২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর তার সরকারের মেয়াদ শেষ হয়। ইভা কপাজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা হিসেবেও পরিচিত। ফোর্বস পত্রিকায় বিবেচনায় ২০১৫ সালে তিনি বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর মধ্যে ৪০ তম প্রভাবশালী নারী নেত্রী হিসেবে বিবেচিত হন।
(মান্না)