এবার'২৪তম আন্তর্জাতিক জাদুঘরবিষয়ক সম্মেলন' শিরোনামের এক প্রবন্ধ।
সম্প্রতি ২৪তম আন্তর্জাতিক জাদুঘরবিষয়ক সম্মেলন, অর্থাত্ জাদুঘর মেলা ইতালির মিলানে শেষ হয়েছে। এবারের এ সম্মেলনে বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ১৩০টি দেশের ৩ হাজারেরও বেশি জাদুঘরবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও দায়িত্বশীলব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে চীনা জাদুঘরবিষয়ক ২'শ প্রতিনিধি মিলানে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় করেন।
এই মেলা বিশ্বের জাদুঘর মহলের বৃহত্তম মহাসম্মিলনী। এটি বিভিন্ন দেশের জাদুঘরের মধ্যে নতুন ফলাফল বিনিময়, কার্যকর সহযোগিতা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো 'জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক-প্রাকৃতিক দৃশ্য'।
চীনা বিশেষজ্ঞরা এবার তৃতীয়বারের মত এ মেলায় অংশ নেন। এই সম্মেলনে অংশ নেওয়া একটি চমত্কার সুযোগ। কারণ এর মাধ্যমে নিজ দেশের জাদুঘরবিষয়ক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা যায় এবং অন্যদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানা যায়।
এবার'চীন-মার্কিন পর্যটন বর্ষ' শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক খবর।
৬ সেপ্টেম্বর বেইজিং পর্যটন উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে 'আকর্ষণীয় বেইজিং' শিরোনামে পর্যটন প্রচার অনুষ্ঠান, অর্থাত্ ছবি প্রদর্শনী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৬ সালে চীন-মার্কিন পর্যটন বর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচার ও বিনিময় তত্পরতা হিসেবে, এবার প্রচার-অনুষ্ঠান ও ছবি প্রদর্শনীতে প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ছাড়াও প্রচুর জ্বালানিসম্পদ ও সবুজে ঘেরা বেইজিংয়ের আকর্ষণীয় শক্তি দেখা যায়।
একই সঙ্গে ওয়াশিংটনও 'বেইজিংকে স্বাগত' শিরোনামে সেবাব্যবস্থা চালু করতে চায়। তারা আরো বেশি চীনা পর্যটককে আকৃষ্ট করার প্রত্যাশা করে। আসলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দ্বাদশ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তখন বাংলাদেশের ৮টি পর্যটন কোম্পানি মেলায় অংশ নেয়। আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলার পর আমি জানতে পারি, চীন সম্বন্ধে তারা অনেক তথ্য জানেন। 'এক অঞ্চল, এক পথ' ধারণা উত্থাপিত হওয়ার পর, রেশমপথের প্রাচীন দেশ বাংলাদেশ সম্বন্ধে জানতে আরো বেশি মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)