চীনের আলিবাবা গ্রুপ সম্প্রতি ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ হাজার স্কুলের জন্য ১০ লাখ বই সংগ্রহের অভিযান শুরু করেছে। ২০২০ সালের মধ্যে এসব বই সংগ্রহ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বই সংগ্রহ করা হবে ১৮ অগাস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আলিবাবা পুরাতন পাঠ্যপুস্তক কেনার জন্য ৪০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে। এসব বই অভাবগ্রস্ত স্কুলগুলোর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এ কাজে ভারতে বইয়ের বৃহত্তম দোকান 'ক্রসওয়ার্ড' এবং রত্ননিধি দাতব্য সংস্থা সাহায্য-সহযোগিতা দেবে।
এ উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ভারতে আলিবাবা গ্রুপের পরিচালক গুরু গোরাপ্পান বলেন, প্রত্যেক শিশুর মানসম্পন্ন শিক্ষার অধিকার আছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা শিশুর চরিত্রের ওপর সুগভীর প্রভাব ফেলে থাকে।
বন্ধুরা, এখন আমরা 'বেইজিংয়ে চীনের সংখ্যালঘু জাতির সাহিত্য ও শিল্পকলা অনুষ্ঠান'সহ সাম্প্রতিককালের কিছু আলোচিত সাংস্কৃতিক ঘটনা শুনবো।
চীনের পঞ্চম সংখ্যালঘু জাতির সাহিত্য ও শিল্পকলা অনুষ্ঠান ১৮ অগাস্ট বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে হু জাতির 'হুয়া এ চান ফাং সিন ফু লাই' 花儿绽放幸福来> নৃত্যে হু জাতির নারীদের দৈনন্দিন জীবন প্রতিফলিত হয়। মঙ্গোলিয়ান জাতির 'চুন মা কুই লাই骏马归来' নৃত্যে তৃণভূমিতে ঘোড়ার স্বাধীন বিচরণের দৃশ্য দেখা যায়।
এর পর এক মাসের মত বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৩টি সংখ্যালঘু জাতির অনুষ্ঠান বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এতে রয়েছে নৃত্যনাট্য, গীতিনাট্য, নাটকসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান।
আসলে বাংলাদেশের হাজার বছরের নৃত্যধারা বিভিন্ন ধরনের উত্সব-অনুষ্ঠান, কৃত্যাচার বা পূজার সাথে সম্পর্কিত। এসব নাচের মধ্যে রয়েছে: ঝুমুর নাচ/পাতা নাচ, পদ্মার নাচন, বেহুলার নাচাড়ি, ধামাইল নাচ, কালেক্টর নাচ, লাঠি নাচ, মাদার পীরের বাঁশ তোলা ও মাদার বাঁশের নাচ, বাইদ্যার নাচ, পরী নাচ, কালী কাচ, পাতা নাচ, ঘোড়া নাচ, দণ্ড নাচ ইত্যাদি ইত্যাদি।
৭ দিনব্যাপী 'শাংহাই বই মেলা-২০১৬' ১৭ অগাস্ট শুরু হয়। সারা চীনের ৫'শরও বেশি প্রকাশনা সংস্থা এতে অংশ নেয়।
সম্প্রতি 'হুগো অ্যাওয়ার্ড' অনুষ্ঠানে চীনের লেখিকা হাও চিং ফাং'র 'ফোল্ডিং বেইজিং' বইটি পুরস্কার লাভ করে। বিশ্ব বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী সমাজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। হাওয়ের আগে চীনের লেখক লিউ ছি সিন এ পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।
আসলে চীনের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অনেক চমত্কার, কিন্তু বইয়ের গুণগতমান ছাড়া ভালো অনুবাদকও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসলে চীনের এ দু'জন লেখক লেখিকার বইয়ের অনুবাদক হলেন একই ব্যক্তি। তিনি হলেন লিউ ইয়ু খুন। লিউ ইয়ুন খুনও একজন চমত্কার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর লেখক। তার অনেক বইও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)