হ্যালো চায়না: ৩৮. ফোং শুয়ে
  2016-09-03 17:09:12  cri

একজন আমেরিকান তারচীনা বন্ধুকে পর্বতের কোলে অবস্থিততার ভিলাতে আমন্ত্রণ জানায়। চীনা বন্ধু তার ভিলায় বেড়ানোর পর সে বাড়ির প্রশংসা করে বললো, এখানে পর্বত ও পানি একসঙ্গে রয়েছে। একে 'ফোং শুয়ে' বা মূল্যবান স্থান বলা হয়। এ কথা শুনে মার্কিন বন্ধুটি খুবই অবাক হলো। সে তাকে জিজ্ঞেস করলো 'কেন তার বাসাকে সুন্দর না বলে 'ফোং' ও 'শুয়ে' বলছে। এই 'ফোং' ও শুয়ে'র মানে কি?

চীনের 'ফোং শুয়ে' এক ধরণের রহস্যময় জ্ঞান। চীনের মানুষের ধারণা, পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে বায়ু, পানি ও মাটি থেকে। এ রহস্যময় জ্ঞান উন্নত হলে, মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্কও উন্নত হবে। স্থাপত্য নকশা ও গৃহসজ্জার কাজে 'ফোং শুয়ে' ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ মনে করে, পরিবারের সুষম অবস্থা ও সন্তান-সন্ততির সঠিক বিকাশ 'ফোং শুয়ে'র ওপর নির্ভর করে। আসলে 'ফোং শুয়ে'রকিছু বৈজ্ঞানিক যথার্থতাও রয়েছে। এটি কেবল জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোলের সঙ্গেই সম্পর্কিত নয়, এটি চাইনিজ থাইচি ও ঐতিহ্যবাহী চীনা দর্শনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। 'ফোং শুয়ে'র মূল চিন্তাধারা হলো মানুষ ও প্রকৃতির সুষম বিন্যাস ও ব্যবহার। 'ফোং শুয়ে' বিদ্যায় বলা হয়, আকাশ, মাটি, বাতাস ও পানি হলো মানবজাতির জীবন-যাপনের ভিত্তি, তাদের সঙ্গে সম্প্রীতিময় বসবাস করা উচিত ।

চীনে যারা 'ফোং শুয়ে' অনুধাবন করতে সক্ষম, তাঁদেরকে 'ফোং শুয়ে' মাস্টার বলা হয়। যখন বাসা পরিবর্তন ও কবরস্থান নির্বাচনের প্রয়োজন হয়, তখন মানুষ 'ফোং শুয়ে' মাস্টারের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়। এই মাস্টার তখন কম্পাসসহ বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে পরিবেশর বিভিন্ন দিকে বিবেচনা করে পরামর্শ দেন। ঘরের অভ্যন্তরীণ বিন্যাসও এর মধ্যে ব্যাখ্যা করা হয়।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040