0828nvxingbo
|
তবে এবার জন্মদিনের আয়োজন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন খালেদা জিয়া। এমনকি তাকে শুভেচ্ছা জানাতে নেতারা ফুল নিয়ে গেলে তিনি তা গ্রহণও করেননি। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি বিএনপি ও এর প্রায় সবগুলো অঙ্গ সংগঠনের নেতারা দলীয় প্রধানের 'জন্মদিন' পালন থেকে বিরত থাকে। তবে ব্যতিক্রম শুধু ছাত্রদল। সংগঠনটির সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা কেক কেটে তাদের নেত্রীর জন্মদিন পালন করেছেন।
ছাত্রদলের এক নেতা জানান, চেয়ারপারসন জন্মদিন পালন না করার কথা বললেও তাদের নিষেধ করা হয়নি। তাই তারা তাদের মতো করে আনন্দ করেছেন। বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু সাংবাদিকদের বলেছেন, এদিন চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্ত সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ছাত্রদল কী করেছে তা জানি না। তবে সামগ্রিক অবস্থায় ম্যাডামের সিদ্ধান্ত মেনে নিলে ভালো হতো। নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে যাওয়া নেতারা ফিরেছেন 'খালি হাতে'।
জঙ্গিবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়ার পর খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন উদযাপন না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন দলের প্রতি অনুগত বুদ্ধিজীবীরা। জাতীয় ঐক্য গড়ার চেষ্টায় করা বৈঠকেও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী একই পরামর্শ দেন। এরপর ১৪ আগস্ট বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার জন্মদিনের অনুষ্ঠান করছেন না বিএনপি প্রধান। শুধু তাই নয়, তিনি গুলশানে কাউকে কেক নিয়ে যেতেও বারণ করেন।
১৪ আগস্ট রোববার রাত ১০টার দিকে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিলকিস জাহান শিরিন, নূরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানাসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। এসময় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গেলেও নেতাদের ফুল নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যারা ফুল নিয়ে গেছেন তারা গাড়িতে তা রেখে ভেতরে প্রবেশ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ছবিতে দেখা গেছে, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন ও স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় মহিলা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপেক্ষা করছেন।