পাশাপাশি যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন অথবা প্রচণ্ড রোদে চলাফেরা করেন তাদের শরীর থেকে খনিজ লবণসহ পানি বের হতে পারে। তাই গরমে যাতে শরীরে পানিশূন্যতা না হয় তার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
আর তীব্র পানিশূন্যতার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে খাবার স্যালাইনও খাওয়া উচিত। এতে পানিশূন্যতা দূর হওয়াসহ শরীর সুস্থ হয়। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
তাপমাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রি বা এর চেয়ে বেশি হয় তখন এ অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা বেশি হয় এবং রোগী অনেক ক্ষেত্রে অচেতন হতে পারে।
এক্ষেত্রে রোগীকে প্রথমে কোন ঠান্ডা জায়গায় নিতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে আইস বাথ অথবা বরফ পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে হবে। শহর এলাকায় এসি রুমে রাখলে অবস্থার দ্রুত উন্নতি হয়। তাপমাত্রার কারণে পানিশূন্যতা দেখা দিলে অবশ্যই রিহাইড্রেট করতে হবে। রোগীকে প্রচুর পরিমাণ ঠান্ডা পানি পান করাতে হবে।
প্রয়োজনে ঠান্ডা পানিতে খাবার স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে রোগীকে। এছাড়া মনে রাখতে হবে গরমজনিত কারণে পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া হতে পারে। তাই পিপাসা পেলে বাইরের দূষিত পানি ও খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। সব সময় বিশুদ্ধ পানি পানের চেষ্টা করা উচিত। এমনকি দূষিত পানি থেকে তৈরি বরফও নিরাপদ নয়।
এই গরমে রোদ মাথায় নিয়ে বাইরে যতটা কম যাওয়া যায় ততই ভালো। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। প্রচুর পানি পান করুন। নিয়মিত গোসল করুন। তরল জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। শরবত পান করুণ বেশি বেশি।
শরীর যাতে পানিশূন্য বা ডিহাইড্রেড হয়ে না পরে সে দিকে নজর রাখুন। যত গরমই লাগুক সরাসরি ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করবেন না। এতে হিতে বিপরিত হতে পারে।
প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়া হয়। সে দিকে নজর রাখুন। মসলাযুক্ত ও ঝাল খাবার এ সময় খাওয়া থেকে রিরত থাকিন। খাবার মেনুতে তেঁতুলের টক রাখুন। কারণ এ টক শরীর শীতল রাখে।
এ সময় বাইর পথের ধারে বিক্রি হওয়া খাবার, শরবত বা অন্য কোনো পানিয় খাবেন না। এতে অসুস্থ হয়ে পরার ঝুঁকি থাকে।
গরমের সময় খাবার বেশি নষ্ট হয় এবং জীবানুযুক্ত হয়ে পড়ে। এ ধরনের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত খাবার যথাযথভাবে সংরক্ষণ করুন।
(ওয়াংহাইমান উর্মি/মান্না)