বন্ধু মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আপনাকে সুন্দর চিঠির জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, আপনি নিয়মিত আমাদের লিখবেন।
বাংলাদেশের ঢাকার বিধান চন্দ্র টিকাদার লিখেছেন, বৈশাখের বৈশাখী শুভেচ্ছা রইলো। ২৫ এপ্রিল মুক্তার কথা আসরে বেশ কয়েকজন শ্রোতার চিঠি ছিল, যা শুনে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে, অনেকদিন পর ইন্ডিয়ার হাফিজুর রহমানের চিঠি শুনলাম, যা ভালো ছিল। অবশ্য আমিও মেইল পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু মুক্তার কথা'র এই আসরে তা তুলে ধরা হয় নাই; হয়ত আগামী আসরে আমার চিঠি তুলে ধরা হবে। শর্টওয়েভ, এফএম ও মিডিয়াম ওয়েভ ইত্যাদিতে চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল-এর বাংলা অনুষ্ঠান প্রচার হওয়াতে বাংলাদেশ-এর সকল জায়গা থেকে এই অনুষ্ঠান খুব ভালো শোনা যায়। সকল অনুষ্ঠান খুব শ্রোতাপ্রিয় হয়ে প্রশংসা অর্জন করছে। আমার সাথে নিয়মিত অনেক শ্রোতার ফোনালাপ হয়। তাদের সাথে চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল-এর বাংলা অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হয়। তারাও প্রশংসা করে থাকেন। চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল-এর বাংলা বিভাগের ওয়েভসাইটও খুব ভালো এবং প্রচুর তথ্যসমৃদ্ধ। আমার এ লেখা মুক্তার কথা আসরে তুলে ধরা হবে বলে আশা করি।
আচ্ছা, বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার, আসলে আপনার চিঠি আমরা নিয়মিতই আমাদের আসরে পড়ে শোনাই। এবারের অনুষ্ঠানেও আপনার চিঠি পড়ে শোনালাম। খুশি তো? আশা করি, আপনি নিয়মিত আমাদের লিখবেন এবং মতামত দেবেন। চিঠির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সোর্স অব নলেজ ক্লাবের সভাপতি কে এইচ রফিকুল ইসলাম তার ইমেলে লিখেছেন, শুভ নববর্ষ। বছরের এই বিশেষ দিনে আপনাদের বেতার কেন্দ্রের সকলকে জানাই তাজা রজনীগন্ধা ফুলের শুভেচছা। সবাই ভাল ও সুস্থ আছেন তো? আমি আপনাদের অতি পরিচিত ও নিয়মিত শ্রোতা। আপনাদের প্রতিদিনের বাংলা রেডিও অনুষ্ঠান ও তার সুন্দর, নিখুঁত ওয়েবপেইজ এত ভালবাসি ও পছন্দ করি যে, এই ছোট পরিসরে তা পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারছি না। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছি এবং তা আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করছে। প্রতিবেশি, বন্ধুমহল ও আত্নীয় সার্কেলে আপনাদের বেতার কেন্দ্রের অপরিহার্যতা সম্পর্কে নিয়মিত ব্রিফিং করে থাকি। তাদেরকে আপনাদের সুন্দর ও ঝকঝকে ওয়েবপেজ দেখতে উত্সাহিত করি। ইতোমধ্যে অনেকেই আমার আহবানে সাড়া দিয়েছে। আপনাদের অধিক জনপ্রিয়তা ও প্রচার কামনা করছি।
বন্ধু রফিকুল ইসলাম, আপনাকে চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করতে তুলতে ভূমিকা রাখছেন জেনে ভালো লাগলো। আমাদের অনুষ্ঠানের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনাও আমরা শুনতে চাই। কোনো অনুষ্ঠান আরও ভালো করার জন্য কী করা উচিত জানাবেন। আপনাদের মতামতকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। অন্যান্য শ্রোতারাও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে সমালোচনামূলক লেখা পাঠাতে পারেন। আপনাদের যে-কোনো মতামত আমাদের কাছে মূল্যবান।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার হামিম হোসেন মণ্ডল (বুলবুল) তার ইমেলে লিখেছেন, প্রিয় আপা ও ভাইয়া, ব্যস্ততার কারণে আর তেমন অনুষ্ঠান শোনা এবং চিঠি পাঠানো হয়ে ওঠে না। কিন্তু আজ শত ব্যস্ততার মাঝে এই মেইলটি পাঠালাম, বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছাসহ। একটি স্বরচিত কবিতা পাঠালাম পিডিএফ করে। ভালো লাগলে পড়ে শোনাবেন শ্রোতাদের। আর ফিডব্যাক জানাতে ভুলবেন না যেন।
আচ্ছা, আপনি শত ব্যস্ততার মাঝেও চিঠি লিখেছেন, কবিতা লিখে পাঠিয়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের অনুষ্ঠান শোনার জন্য আপনার সময় হবে। আমাদের মাঝে মাঝে চিঠি লিখবেন বলেও আশা করি। আর এখানে আমি আপনার কবিতাটি শ্রোতাদে পড়ে শোনাচ্ছি। আশা করি শ্রোতারা কবিতা সম্পর্কে তাদের মতামত লিখে পাঠাবেন।
……
আচ্ছা, বন্ধু হামিম হোসেন মণ্ডল (বুলবুল)কে কবিতার জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার মোঃ উজ্জল হোসেন তার ইমেলে লিখেছেন, সুধী শুরুতে জানাই আমার অন্তরের অস্তস্থল থেকে শীতের মিষ্টি ভালোবাসা, প্রীতি ও শুভেচছা। আশা রখি আল্লাহর মেহেরবানীতে আপনারা বেশ ভাল এবং সুস্থ আছেন। CRIএর প্রতিটা অনুষ্ঠান আমার কাছে খুব ভাল লাগে। আমার বিশ্বাস নতুন বছরে CRIআরো সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান আমাদের উপহার দিবেন। আমার দুটি প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন ১. চীনের কোন স্থানে সবচে বেশি পর্যটক যায়? প্রশ্ন ২. পৃথিবীর কোন স্থানে সবচেয়ে বেশি পর্যটক যায়? আশা করি উত্তার জানাবেন। আশা রাখি আপনারা ভাল ও সুস্থ আছেন। সুখে থাকুন, সুন্দর থাকুন এ কামনা করি।
আচ্ছা, বন্ধু মোঃ উজ্জল হোসেন, আপনাকে চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে, চীনে অনেক পর্যটনকেন্দ্র আছে। কোন পর্যটনকেন্দ্রে কত পর্যটক বেড়াতে যান, তার সঠিক হিসেব দেওয়া মুশকিল। তবে, চীনে যারা বেড়াতে আসেন, তাদের প্রায় সবাই মহাপ্রাচীর দেখতে যান। আপনারা জানেন, মহাপ্রাচীর পৃথিবীতে মানুষের তৈরি সবচে বড় স্থাপনা। হতে পারে, মহাপ্রাচীরেই সবচে বেশি পর্যটক বেড়াতে আসেন। আর বিশ্বের কোন স্থানে সবচে বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে বলা আরও মুশকিল। পৃথিবীতে তো হাজার হাজার আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র আছে। আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
গোপালগঞ্জ জেলার কানন রানী টিকাদার তার ইমেলে লিখেছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা একটি মেইল ৩১ জানুয়ারী মুক্তার কথা আসরে তুলে ধরার জন্য। নিয়মিত সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান শুনে নিয়মিত এভাবে লিখে যেতে চাই এবং আমাদের লেখার মূল্যায়ন দেখতে চাই ।সি আর আই বাংলা অনুষ্ঠান গ্রামের শ্রোতাদের নিকট আজও খুব প্রিয়। শোনাও যায় খুব পরিষ্কারভাবে। সি আর আই বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটও খুব ভালো।
বন্ধু কানন রানী টিকদার, আপনাকে ইমেল লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শোনার জন্য। আপনাদের কাছ থেকে আমরা বস্তুনিষ্ঠ মতামত আশা করি। অনুষ্ঠানের ভালো-মন্দ বিচার করে লিখবেন। ভালো থাকবেন।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার আন্তর্জাতিক বাঁধন বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ সোহাগ বেপারী তার ইমেলে লিখেছেন, মুক্তা আপু, ডাকাতিয়া নদীর তীরে ফুটে থাকা শিশিরভেজা সরিষা ফুলের শুভেচ্ছা নিবেন। একটি কবিতা লিখে পাঠালাম। পড়ে শোনালে খুশি হবো।
আমি এখানে শ্রোতাদের কবিতাটি পড়ে শোনাচ্ছি।
ছড়িয়ে আছে অনেক
ঝরাপাতা
বুকে নিয়ে নানা সুখের কথা
কিংবা দুঃখবার্তা
ভালোবাসা গেয়ে ওঠা দুই
কলি গান
অথবা প্রেমের ছটায়
উচ্ছ্বসিত
উল্লসিত হাসির কম্পণ
এই নিয়ে শান্ত স্থির সন্ধ্যার
ঝরাপাতা চত্ত্বর।
ঝরাপাতার চত্ত্বরে
আমাদের কথার মেলার
মাঝে
ঝরে পড়ল একটি পাতা
মনের মাঝে গোপন কিছু
কথা ।
সন্ধ্যার নরম আলো,
হালকা বাতাস আর
শেষে শীতের পরশ
এরই মাঝে হৃদয়ের ভাব বিনিময় ।
ফুটপাতের বাতিগুলোর হলুদ
আলো
কিছুটা হলদে করে দেয়
চত্ত্বরকে
হলুদ দুটি হাত
একে অন্যকে স্পর্শ করে
মমতায়, ভালোবাসায়,
বিশ্বাসে।
তাই দেখে পাতায়-পাতায়
ঝরাপাতায়-
মাটিতে কানাকানি পড়ে
যায়
বাতাস যেন কানের
পাশে বলতে থাকে
ভালোবাসি ভালোবাসি
এই সন্ধ্যায় ঝরাপাতার
চত্ত্বরেও
তোমায় ভালোবাসি হে প্রিয় চীন আন্তর্জাতিক বেতার ।
বন্ধু মোঃ সোহাগ বেপারী, আপনাকে কবিতা লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার কবিতাটি সুন্দর হয়েছে। আশা করি শ্রোতারা এ কবিতা সম্পর্কে তাদের মতামত লিখে পাঠাবেন। (মুক্তা/আলিম)