১২ জুলাই মিশরে চীনের রাষ্ট্রদূত সুং আই কুও, মিশরের পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ ইয়েহিয়া রাশেদ এবং হেরিটেজবিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-আনানি কায়রোতে যৌথভাবে জুলাই মাসের শেষে দেশটিতে চীন-আফ্রিকা সাংস্কৃতিক দিবস আয়োজনের ঘোষণা দেন।
রাষ্ট্রদূত সুং এক ভাষণে বলেন, চীন-মিশর, ও চীন-আফ্রিকা ভাল বন্ধু, অংশীদার ও ভাই। প্রথম চীন-আফ্রিকা সাংস্কৃতিক দিবসের আয়োজন হচ্ছে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের জোহানেসবার্গ শীর্ষ সম্মেলনের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের অর্জিত প্রথম ফলাফল। তা চীন ও মিশর এবং চীন ও আফ্রিকান দেশগুলোর সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিনিময় আরো গভীর করবে।
জানা গেছে, এবার চীন-আফ্রিকা সাংস্কৃতিক দিবস হলো চীন-মিশর সাংস্কৃতিক বছরের কাঠামোতে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প। মিশর আশা করে এবার এ দিবসের মাধ্যমে চীন ও অন্য আফ্রিকান দেশগুলো নিজ দেশের প্রচুর সংস্কৃতি, শিল্প ও পর্যটন সম্পদ প্রচার করবে। তা ছাড়া, আরো আফ্রিকান দেশ চীনের রঙ্গিন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। এই দিবস চীন-মিশর এবং চীন-আফ্রিকান দেশগুলোর সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা গভীর করবে।
প্রথম চীন-আফ্রিকা সাংস্কৃতিক দিবস ২১ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত মিশরে অনুষ্ঠিত হবে। চীন, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, কেনিয়া ও মরক্কোসহ ১৬টি আফ্রিকান দেশের সাংস্কৃতিকদল ও শিল্পীরা পিরামিড এবং কায়রো থিয়েটারসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যময় ভবনে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক বিষয় পরিবেশন করবে।
টুটুল, গত বছর ছিলো চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী। আসলে গত বছরে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে, তাই না? আপনার মনে বাংলাদেশের কি কি অনুষ্ঠান সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বমূলক। কী পদ্ধতির মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশের সংস্কৃতি জানতে পারা যাবে?
এবারে শুনুন '২৪তম আন্তর্জাতিক জাদুঘরবিষয়ক সম্মেলন' শিরোনামের এক প্রবন্ধ।
৯ জুলাই ২৪তম আন্তর্জাতিক জাদুঘরবিষয়ক সম্মেলন, অর্থাত্ জাদুঘর মেলা ইতালির মিলানে শেষ হয়েছে। এবারের এ সম্মেলনে বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ১৩০টি দেশের ৩ হাজারেরও বেশি জাদুঘরবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও দায়িত্বশীলব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে চীনা জাদুঘরবিষয়ক ২'শ প্রতিনিধি মিলানে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় করেন।
প্রতি তিন বছর ধরে জাদুঘর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যা বিশ্বের জাদুঘর মহলের বৃহত্তম মহাসম্মিলনী। এটি বিভিন্ন দেশের জাদুঘরের মধ্যে নতুন ফলাফল বিনিময়, কার্যকর সহযোগিতা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো 'জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য'।
চীনা বিশেষজ্ঞরা এবার তৃতীয় বারের মত এ মেলায় অংশ নেন। এই সম্মেলনে অংশ নেওয়া একটি চমত্কার সুযোগ। কারণ এর মাধ্যমে নিজ দেশের জাদুঘরবিষক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা যায় এবং অন্যদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানা যায়।
টুটুল, আমি বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ পাইনি, কিন্তু আমি বাংলাদেশের জাদুঘরবিষয়ক কিছু তথ্য আপনার কাছ থেকে জানতে চাই।
আচ্ছা, এতক্ষণ প্রবন্ধ শুনলেন। এখন শুনুন সহকর্মী এনামুল হক টুটুলের উপস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পর্ব।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)