সবাই জানেন, ঘুমানোর আগে খাবার খাওয়া একটি বদ্যভাস। এটি আমাদের সুস্থতা ও ঘুমের গুণগত মানের জন্য কল্যাণকর নয়। বরং এ দুটোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কেউ কেউ মনে করেন, ঘুমের আগে ভারী খাবার না খেয়ে কোনো পানীয় পান করলে ঘুমের জন্য ভালো। আসলে এটা ঠিক নয়। সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে ৬ রকমের পানীয়ের ব্যাপারে তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলো ঘুমের জন্য ভাল নয়।
তাহলে প্রথমে আজকের প্রথমটি পানীয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।
১. এলকোহল :
আমরা জানি, অল্প পরিমানের এলকোহল খেলে তা শরীরের রক্তপ্রবাহকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভালো কাজ করতে পারে। শরীরকে রিল্যাক্স করতে পারে। এলকোহল শরীরে প্রবেশের পর রক্তের সাথে মিশে গিয়ে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ সৃষ্টি হয়। এর ফলে মানুষ সহজেই ঘুমিয়ে যায়। ঘুম দ্রুত আসার জন্য এটি একটি উপায় বটে। তবে ভালো উপায় নয়। যারা এ উপায়ে ঘুমাতে চান তাদের ঘুমের গুণগতমান একদম ভালো নয়। তাদের সহজেই জাগানো যায়। এ কারণে ঘুমের আগে কোনো এলকোহল পান করা উচিত নয়।
ভেষজ চা :
ভেষজ চায়ে রয়েছে ড্যানডিলিয়ন, ক্যামোমিল, জালান বারলি ও জুনিপিরাস। ঘুমের গুণগত মান সুনিশ্চিত করার জন্য ঘুমের আগে এই ধরণের ভেষজ চা না খাওয়া ভাল। কারণ এগুলো খেলে বার বার প্রস্রাব করতে বাথরুমে যেতে হবে।
কার্বনেটেড পানীয় :
কার্বনেটেড পানীয়ের মধ্যে অধিকাংশই চিনি জাতীয় পানীয়। পানীয় চিনি শরীরে সহজেই মিশে যেতে পারে। সে জন্য মানবদেহে ব্লাড-সুগারের পরিমান দ্রুত বেড়ে যায়। উচ্চ পর্যায়ের ব্লাড-সুগারের কারণে ঘুম আসা সম্ভব হবে না। কার্বনেটেড পানীয়ের মধ্যে ক্যাফিন থাকে। সুতরাং ভালো ঘুম আসার জন্য কার্বনেটেড পানীয় না খাওয়া উত্তম।
কফি :
আমরা জানি, কফির মধ্যে প্রচুর ক্যাফিন থাকে। ক্যাফিন Central Nervous System সিএনএসের জন্য একটি উত্তেজক পদার্থ। ঘুমানোর আগে কফি খেলে সম্ভবত আপনার ঘুম আসবে না। তবে কফির বিরুদ্ধে প্রত্যেকের অবস্থা ভিন্ন। কতটুকু কফি খেলে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়বে না একেক জনের একেক রকম ক্ষমতা।
সুস্থতা রক্ষার পানীয় :
কমনীয় ত্বক রক্ষা করতে অনেকেই ঘুমের আগে খাওয়ার জন্য একটি পানীয় বাছাই করেন। এধরণের পানীয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফিন। এটি ঘুমের গুণগত মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। চেহারার সৌন্দর্য বর্ধনের বৈশিষ্ট্য থাকলেও ঘুমের গুণগতমান সুনিশ্চিত করতে না পারে না এ পানীয়।
ডার্ক চকলেট :
অনেকেই ডার্ক চকলেট খেতে পছন্দ করেন। ডার্ক চকলেটের মধ্যে কেবল যে ক্যালরির পরিমান বেশি থাকে তা নয়, তাতে প্রচুর পরিমানের ক্যাফিনও রয়েছে। ৪৪ গ্রামের একটি ডার্ক চকলেটের মধ্যে ১২ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। এই পরিমান ১০ গ্রাম সাধারণ কফির মধ্যে ক্যাফিনের পরিমানের মতো। এমন কি চকলেটের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ অনিদ্রা সৃষ্টি করতে পারে।
(ওয়াংহাইমান উর্মি/মান্না)