তরুণ চীনাতত্ত্ববিদদের গবেষণা ও অধ্যয়ন প্রকল্প-২০১৬
  2016-07-23 20:39:58  cri
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি'। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া।

প্রথমে কয়েকটি সংস্কৃতিবিষয়ক খবর।

৬ জুলাই বেইজিংয়ে 'তরুণ চীনাতত্ত্ববিদদের গবেষণা ও অধ্যয়ন প্রকল্প-২০১৬' অনুষ্ঠিত হয়। চীনের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চীনের সমাজ ও প্রযুক্তি কলেজ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, তুরস্ক, বেলারুশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ২৬টি দেশের ৩১জন তরুণ চীনাতত্ত্ববিদ এ প্রকল্পে অংশ নেন। তারা চীনের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো সার্বিক জ্ঞান লাভ করেন।

জানা গেছে, এবার এ ৩১জন তরুণ চীনাতত্ত্ববিদ বেইজিংয়ে ৩ দিনের ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন। হু আন কাং, ওয়াং জি চুয়ান, লিউ সিন উ ও কে চিয়েন সিয়ংসহ চীনের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিত ক্লাসে ভাষণ দেন। তার পর এ তরুণ চীনাতত্ত্ববিদরা চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমি, চীনের সংস্কৃতি গবেষণালয়, ছিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বেইজিং ল্যাঙ্গুয়েজ বিশ্ববিদ্যালয় ও বেইজিং ফরেন স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক সেমিনার ও আলোচনাসভায় মিলিত হন। তা ছাড়া, তারা চীনের সাংস্কৃতিক হেরিটেজ পরিদর্শন করেন।

চীনের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী তিং উয়েই ক্লাসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, 'তরুণ চীনাতত্ত্ববিদদের গবেষণা ও অধ্যয়ন প্রকল্প-২০১৬' হলো চীন ও বিদেশের মধ্যে এক সাংস্কৃতিক সেতু। তিনি আশা করেন, আরো বেশি বিদেশি বন্ধুরা চীনে এসে আরো ভালোভাবে চীনকে জানতে পারবেন।

চীনের সমাজ ও প্রযুক্তি কলেজের উপ-পরিচালক বলেন, এ প্রকল্প হলো বিভিন্ন দেশের চীনাতত্ত্ববিদদের চীন সম্বন্ধে জানানোর একটি সেতু। তা, ছাড়া, এই প্রকল্প পারস্পরিক দেশের সংস্কৃতি বিনিময় করার সুযোগ তৈরি করে। যাতে আন্তর্জাতিক চীনাতত্ত্ববিদরা গবেষণার উন্নয়ন আরো ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

চীনের বেইজিং অপেরা সাংস্কৃতিক তহবিল ও ম্যাকাও তহবিলের যৌথভাবে আয়োজিত 'ছু ফেং ছিং ইন(雏凤清音)---চীনের কিশোর-কিশোরী বেইজিং অপেরাদলের বিশেষ অনুষ্ঠান' এবং 'চিং ইয়ুন দে হাও ছিং(京韵乐濠情) বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত অনুষ্ঠান' ১০ থেকে ১১ জুলাই ম্যাকাও'র ইয়ং লে অপেরা নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হয়।

চীনা সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে প্রচার করার জন্য ও ম্যাকাও নাগরিকদের বেইজিং অপেরা উপভোগ করার জন্য এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

খ্রিষ্টপূর্ব ২ শতাব্দীতে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে 'রেশমপথ' নামে একটি পথ ছিলো। 'রেশমপথ' প্রাচীন বাণিজ্যিক শহর চীনের ছিয়াং আন শহর থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়ার মাধ্যমে ইউরোপে পৌঁছে। 'রেশমপথ' পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মিলনকে ত্বরান্বিত করে।

উজবেকিস্তানের প্রাচীন শহর বুখারা ছিলো প্রাচীন রেশমপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বর্তমানে রেশমপথ পুনরুদ্ধার করার এ মহান ধারণার প্রভাবে এ প্রাচীন শহরটি নতুন করে প্রাণশক্তি ফিরে পেয়েছে।

বুখারা হলো মধ্য-এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন একটি শহর। খ্রিস্টীয় ৪ শতাব্দী থেকে ২০ শতাব্দীর মধ্যে অনেক প্রাচীন শহর ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু বুখারা বজায় রাখা হয়। এটিকে 'শহরের জাদুঘর' বলা হয়। ১৯৯৩ সালে বুখারাকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করা হয়।

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।

চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040