হ্যালো চায়না: ৩০. আকুপাংচার
  2016-07-08 13:58:14  cri

আকুপাংচারের কথা উল্লেখ করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত একটি গল্প বলতে হবে। প্রেসিডেন্ট নিক্সন চীন সফরকালে তার সঙ্গে একজন সংবাদদাতা এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে চীনের হাসপাতালে ভর্তি হলেন। চীনা ডাক্তার অপারেশন করার সময় অনুভূতিনাশক ওষুধ ব্যবহার না করে, সুই দিয়ে আকুপাংচার পয়েন্টকে চাঙ্গা করার পদ্ধতির অবেদন করলেন এবং সফল অপারেশন করলেন। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশে আকুপাংচার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

আকুপাংচার চোং ঈ'র গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি 'সুই পদ্ধতি' ও 'ধোঁয়া পদ্ধতি'-এই দুই ভাগে বিভক্ত। সুই পদ্ধতি আকুপাংচারের সময় সুই সরাসরি রোগীর ত্বকে ফুটিয়ে দেয়া হয় এবং এভাবে রোগের চিকিত্সা করা হয়। ধোঁয়া পদ্ধতিতে বিশেষ উদ্ভিদের পাতা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধোঁয়া দেয়া হয় ও গরম উত্তেজনার মাধ্যমে রোগাক্রান্ত স্থান নিরাময় করা হয়। দুই পদ্ধতিকে একত্রে 'চেনচিউ' বা আকুপাংচার বলা হয়। এটা হলো বাইরে থেকে অভ্যন্তরীণ চিকিত্সার পদ্ধতি। আকুপাংচার কিভাবে আবিষ্কৃত হয়, এবার সে প্রসঙ্গ।

প্রাচীনকালে মানুষ দেখলো, শরীরের কোনো স্থানে আকস্মিক আঘাতে অনুভূতি শুন্য হয়ে যায়। তখন থেকে লোকেরা পাথর ও সুই দিয়ে শরীরের কিছু জায়গায় ফুটিয়ে দিয়ে ব্যথা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। চোং ঈতে ধারণা করা হয়, মানবদেহের মধ্যে মোট ১৪টি চিংলুও রয়েছে। চিংলুও হলো রক্ত চলাচলের চ্যানেল এবং পয়েন্ট হলো রক্ত মিলনের স্থান। যদি মানুষের শরীরে রোগ আক্রান্ত হয়, তাহলে এ রোগ সংক্রান্ত পয়েন্ট অস্বাভাবিক হয়ে যায়। এসব পয়েন্টে আঘাত করতে পারলে রক্তের 'ইন' ও 'ইয়াং'-এর ভারসাম্য ফিরে আসবে। এভাবেই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব।

বর্তমানে আকুপাংচার রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংরক্ষণ, ওজন কমানো, সিগারেট ত্যাগ করাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040