সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনুন 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠান।
প্রথমে দু'জন শ্রোতার চিঠি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুলিয়া চটকাতলা নদীয়ার ধীরেন বসাক লিখেছেন,
প্রিয় জিনিয়া দিদি ও টুটুল ভাই, আপনারা আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন। দিদি আজ প্রশ্ন করছি– আমাদের এখানে যেমন আমরা বলি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস। পল্লী কবি জসিম উদ্দিন। চীনেও কি কোনো কবি ও সাহিত্যিকের নামের আগে এরকম কোনো বিশেষণ দেওয়া আছে?সিয়ে সিয়ে, চাই চিয়েন।
বন্ধু ধীরেন বসাক, প্রথমে আপনার চিঠি ও প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তাহলে আজ প্রধান অনুষ্ঠানের আগে বন্ধুদের কাছে চীনের কবি ও কবিতার ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরবো।আসলে চীনের লম্বা ইতিহাস এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে। চীনারা বরাবরই কবিতা লিখতে ও পড়তে পছন্দ করেন।
আমি মনে করি, চীনের থাং রাজবংশ থেকে চীনা কবিতার দারুণ সমৃদ্ধ একটি ইতিহাস আছে।আমরা চীনারা বলি থাং, সুং রাজবংশে ৮জন মহান কবি আছে। কবি হে জি চিয়াংয়ের কবিতা যেন সাগরের মত। আর সি সিয়েন লি পাই'র কবিতা যেন আকাশের দেবতার মত, তার কবিতা শুধু আকাশের প্রাসাদে শুনতে পাওয়া যায়। তা, ছাড়া চীনের হাজার হাজার বিখ্যাত কবি আছেন, তারা অনেক চমত্কার কবিতা লিখেছেন। শুধু প্রাচীন চীনেই নয়, প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত চীনে অনেক বিখ্যাত কবি আছেন।
সুযোগ পেলে পরবর্তী অনুষ্ঠানে আপনাদের জন্য তাদের জীবন ও কবিতার পরিচয় তুলে ধরবো।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইন্টারন্যাশনাল রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের দেবাশীষ গোপ লিখেছেন,
সুপ্রিয় জিনিয়া দিদি ও টুটুল ভাই,
নি হাও। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাই। ভাল আছেন নিশ্চয়ই। সাহিত্য অঙ্গন এমন একটা জায়গা যার বিস্তার অনন্তময়। মানুষের চিন্তাশক্তির ক্ষমতা এতটাই যে তা অভাবনীয়। ইদানীং এই অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের সাহিত্য সৃষ্টি ও সাহিত্য নিয়ে ভাবনাকে স্থান দিচ্ছেন, তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।সিয়ে সিয়ে, চাই চিয়েন।
বন্ধুরা, এখন প্রধান অনুষ্ঠান।
২২ জুন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে হেরিটেজ রক্ষা কাজে অংশ নেওয়া চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এর মধ্যে রয়েছেন চীনের সংস্কৃতি ও হেরিটেজ গবেষণা ব্যুরোর পরিচালক ছিয়াও ইয়ুন ফেই ।
তিনি বলেন, 'চীনা নাগরিক হিসেবে, উজবেকিস্তানের সংস্কৃতি ও হেরিটেজ রক্ষার কাজে অংশ নিতে পেরে আমি গৌরববোধ করি। নিজের হাত দিয়ে বিশ্বের সাংস্কৃতিক হেরিটেজ সংস্কার করতে পেরে আমি খুব খুশি' ।
উজবেকিস্তানের প্রাচীন শহর খিভা সংস্কার করাহলো পরিচালক ছিয়াও'র প্রধান প্রকল্প।খিভাহলো বিশ্বের সাংস্কৃতিক হেরিটেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমির তুরা কলেজ ও খাসাহ মুরাদ মসজিদ হলো খিভা শহরসংস্কারের সবচেয়ে কঠিন দু'টি অংশ।
ছিয়াও বলেন, দু'বছর আগেচীনের সংস্কৃতি ও হেরিটেজ গবেষণা ব্যুরোর উপ-পরিচালক স্যু ইয়েনের নেতৃত্বে এক চীনা প্রতিনিধিদল উজবেকিস্তান সফর করেন। তখন তারা খিভাশহর সংস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তার পর চীন ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিদল পারস্পরিক সফর করেন এবং চলতি বছরের মার্চ মাসে চীনের ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ, প্রকল্প বিশেষজ্ঞ, ভূতাত্ত্বিক জরিপ, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ উজবেকিস্তানে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা চালান।চীনা প্রতিনিধিদলের সংস্কার প্রস্তাব উজবেকিস্তানেরস্বীকৃতি পায়। তাসখন্দ পক্ষ চীনা বিশেষজ্ঞদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। এসব হেরিটেজের হাজার বছরেরও বেশি বছরের ইতিহাস আছে।এসব হেরিটেজ উজবেকিস্তান, এমনকি বিশ্বের সংস্কৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তিনি আশা করেন, সংস্কার কাজ শেষে আরো মানুষ উজবেকিস্তানে গিয়ে দেশটির সাংস্কৃতিকশক্তি উপভোগ করতে পারবেন।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি বা ইমেইল করবেন। আপনাদের কাছ থাকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো,hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের প্রস্তাব বা মতামত।আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন। (জিনিয়া ওয়াং/টুটুল)