সাহিত্য ও সংস্কৃতি--০৬২৮
  2016-07-04 15:39:18  cri
সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান সাহিত্য ও সংস্কৃতি।

তৃতীয় চীন-আফ্রিকা তথ্যমাধ্যমবিষয়ক সহযোগিতা ফোরাম ২০ থেকে ২২ মে পর্যন্ত বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মোজাম্বিকের তথ্য অফিসের পরিচালক এমিলি মোইন সিআরআই'কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, মোজাম্বিক-চীন তথ্যমাধ্যম ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ বিনিময় বজায় রাখছে। মোজাম্বিক চীনের তথ্যমাধ্যমগুলোর সঙ্গে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করার আশা করে।

মোইন বলেন, চীনের সহায়তায় টেলিভিশনের ডিজিটাল পরিবর্তন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলছে। তিনি বলেন, "দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক সহযোগিতা আছে। আমাদের বেইজিংয়ে স্বল্পকালীন সফরকালে চীনের সঙ্গে দু'টি বৈঠক করেছি। বৈঠকে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।"

২০১৩ সালে, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুবাদিত টিভি নাটক 'সি ফু দ্যা মেই হাও সি তাই' মোজাম্বিকের জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। দেশটিতে এ টিভি নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মোইন বলেন, মোজাম্বিক আশা করে, আরো বেশি চীনের টিভি নাটক সেদেশে প্রচার করা হবে, যা দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়কে এগিয়ে নিয়ে যাবে ।

মোইন বলেন, টিভি নাটক 'সি ফু দ্যা মেই হাও সি তাই'তে চীনের সাধারণ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন দেখা যায়। এর মধ্য দিয়ে আমাদের জন্য চীনের সংস্কৃতি জানার একটি দরজা খুলেছে। আমরা আশি করি চীন আমাদের সঙ্গে আরো বেশি সহযোগিতা করবে।

উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি দেশটির রাজধানী তাসখন্দে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার তাসখন্দ শীর্ষ সম্মেলনের কার্যতালিকা প্রকাশ করেছে।

দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনভর নাসিরভ সেদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, কার্যতালিকা অনুসারে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ নেতারা সংস্থাটির বিভিন্ন ক্ষেত্রের পারস্পরিক সহযোগিতা গভীর করবেন এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ওপর মত বিনিময় করবেন। তা, ছাড়া সম্মেলনে মধ্য-এশীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ও অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশগুলোর সঙ্গে বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে।

নাসিরভ বলেন, বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রবাদ দমন এবং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা গভীর করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এবারের সম্মেলনে 'শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ১৫তম তাসখন্দ ঘোষণা' প্রকাশিত হবে। তা, ছাড়া '২০২৫ সাল পর্যন্ত শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার উন্নয়ন কৌশলের ২০১৬-২০২০ সালের অ্যাকশন প্ল্যান' গৃহীত হবে।

'আন্তর্জাতিক যোগ দিবস' উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'যোগ ব্যায়াম টেকসই উন্নয়নে সহায়ক' শীর্ষক এক উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের কর্মী ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদসহ কয়েক শ' লোক জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ভারতের যোগ গুরুর সঙ্গে যোগ ব্যায়াম চর্চা করেন।

জাতিসংঘের সম্প্রচার ও তথ্যবিষয়ক উপ-মহাসচিব ক্রিস্টিনা গ্যালাচ অনুষ্ঠানে মহাসচিব বান কি-মুনের ভাষণ পড়ে শোনান। ভাষণে বান কি-মুন বলেন, যোগ ব্যায়াম জনগণের শরীরের অবস্থা জোরদার, মানসিক চাপ কমানো এবং জীবনের আরো সুন্দর অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য অনুকূল।

তা ছাড়া, গ্যালাচ 'আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের' প্রস্তাবকারী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ভাষণও পড়ে শোনান। ভাষণে বলা হয়, যোগ ব্যায়াম টেকসই উন্নয়নের আলোচ্যবিষয় ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত 'প্যারিস চুক্তির' সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। প্রকৃতি ও পৃথিবীকে সম্মান করা ও রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পোল্যান্ডের সাহিত্য সমিতির আমন্ত্রণে চীনের সাহিত্য সমিতির ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সম্প্রতি পোল্যান্ড সফর করেন। সফরকালে প্রতিনিধিদলটি সে দেশের সাহিত্য সমিতির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তা, ছাড়া, এসময় চীন-পোল্যান্ড লেখকদের কবিতা আবৃত্তিসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পোল্যান্ডে চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলার অংশ নেন।

চীনা প্রতিনিধিদলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি, চীনের লেখক সমিতির সদস্য চীনের সাংস্কৃতিক মহলের উন্নয়ন ও বর্তমান অবস্থার পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি আশা করেন, এ সফরের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা বাড়বে এবং দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক সহযোগিতাও গভীর হবে।

পোল্যান্ডের সাহিত্য সমিতির সভাপতি ম্যারেক ওয়ার্জকুইক বলেন, তিনি তার দেশের সাহিত্য সমিতিতে ৮ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি চীন ও পোল্যান্ডের বিনিময় স্পষ্টভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর চীনা প্রতিনিধিদল পোল্যান্ড সফর করেন। চলতি বছর তারা দু'জন বিখ্যাত চীনা কবিকে আমন্ত্রণ জানাবেন যারা অক্টোবর মাসে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৪৫তম কবিতাসভায় অংশ নেবেন। কবিতাসভার পর চীনা কবির পোল্যান্ড ভাষার কবিতার বই প্রকাশিত হবে।

প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।

চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040