প্রথমে একটি সংস্কৃতিবিষয়ক খবর
মহাপ্রাচীর রক্ষায় চীন তিন হাজারেরও বেশি তত্ত্বাবধায়কের ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন চীনের জাতীয় সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি নিদর্শন ব্যুরোর পরিচালক লিউ ইয়ু চু। সম্প্রতি হে পেই শহরে চীনের ১১তম সাংস্কৃতিক হেরিটেজ দিবসে এ কথা বলেন তিনি।
মহাপ্রাচীরের মোট দৈর্ঘ্য ২১ হাজার কিলোমিটার। সারা দেশের ১৫টি প্রদেশের ৪০৪টি জেলা ও অঞ্চলজুড়ে এর অবস্থান। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে মহাপ্রাচীরের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বন্ধুরা, এখন শুনুন 'বেলজিয়ামের লিয়েজ শহর ও চীনের ফু চিয়েন শহরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন।
২০১৬ সাল হলো বেলজিয়ামের লিয়েজ শহর ও চীনের ফু চিয়েন শহরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে লিয়েজ শহরে একটি অস্থায়ী 'চায়না টাউন' নির্মাণ করা হয়। এখানেই ৪ দিনের উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে চীনের সুস্বাদু খাবার ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করেন সবাই।
লিয়েজ শহরে নির্মিত অস্থায়ী 'চায়না টাউনে' বেলজিয়ামের চীনা কুংফু স্কুলের কয়েকডজন ছাত্রছাত্রী উল্লসিত জনতার সামনে চীনা কুংফু পরিবেশন করেন। তাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ৯ বছর।
এ স্কুলটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বেলজিয়াম ও ইউরোপের বিভিন্ন কুংফু প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন। অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন তারা।
স্কুলটির একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি কেডরিক থাউনিসন গৌরবের সাথে বলেন,
"আমাদের কয়েকটি ক্লাসে চীনা শিক্ষককে আমন্ত্রণ জানাই এবং তারা কুংফু শেখান। যাতে ছাত্রছাত্রীরা সত্যিকারের চীনা কুংফু শিখতে পারেন। কখনো কখনো আমরা ছাত্রছাত্রীদের কুংফু শিখতে চীনে, বিশেষ করে শাংহাই শহরে পাঠিয়ে থাকি। সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের একটি দল শাংহাই থেকে ফিরে এসেছেন। এ ধরনের সুযোগ পেয়ে তারা খুবই খুশি। কুংফু ছাড়া চীনের সংস্কৃতিও উপভোগ করতে পারেন তারা।"
কুংফু ছাড়া 'চায়না টাউনে' চাইনিজ মনোক্রমসও প্রদর্শিত হয়। বেলজিয়ামের অনেক নাগরিক এ ধরনের কাজের প্রতি ভীষণ আগ্রহী। আসলে বেলজিয়ামের অনেকেরই চাইনিজ মনোক্রমস নিয়ে ভালো শিল্পকর্ম আছে। দেশটির একজন শিক্ষক বলেন,
"আমার অনেক ছাত্রছাত্রী খুব পরিশ্রমের সঙ্গে লেখাপড়া করেন। আমি মনে করি, তাদের শিল্পকর্ম অনেক চীনা ছাত্রছাত্রীর কর্মের চেয়েও ভাল"।
বেলজিয়ামে 'চায়না টাউন' নির্মাণ ছাড়াও এ উত্সব উপলক্ষ্যে লিয়েজ শহরের একটি প্রতিনিধিদল চীনের ফু চিয়েন প্রদেশ সফর করেন। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষা, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফু চিয়েন প্রদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করা নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বিশেষ করে বেলজিয়ামের বিয়ার ও চকলেট বিশ্ববিখ্যাত, তারা আশা করেন চীনারা তা পছন্দ ও উপভোগ করবেন।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।