0615
|
চিয়া ওয়েন ছি ও চিয়া হাই সিয়া ছোটবেলা থেকেই পরস্পরের বন্ধু ছিলেন। তারা একসাথে খেলতেন, একসাথে স্কুলে যেতেন। চিয়া হাই সিয়া জন্মগতভাবে চোখের ছানি রোগী। চিকিৎসার টাকা না-থাকায় তখন তার চিকিৎসা হয়নি। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি বা চোখে কিছু দেখেন না।
চিয়া ওয়েন ছিও একটি দুর্ভাগা ছেলে। যখন তিনি ৩ বছর বয়সি তখন একটি ইলেকট্রিক শক খেয়ে তিনি তার দুটি হাত হারান।
২০০২ সালের আগ পর্যন্ত চিয়া ওয়েন ছি ছিলেন একজন বন শ্রমিক এবং চিয়া হাই সিয়া খনিতে কাজ করতেন। চিয়া ওয়েন ছির হাত নেই, কিন্তু তিনি সাধারণ মানুষের মতোই কাজ করতে পারেন, লিখতে পারেন। তিনি একবার নিজের মুখ ও দাঁত নিয়ে দু'টি মেয়েকে নদীতে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন।
২০০২ সালে চিয়া হাই সিয়া আবার দুর্ঘটনার শিকার হন। খনিতে একটি বিস্ফোরণে তিনি হারান বাকি চোখের দৃষ্টিশক্তিও। মানে তিনি পুরোপুরি একজন অন্ধে পরিণত হন। এসময় তিনি চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরেন। পাছে হতাশায় তিনি আত্মহত্যা করে বসেন—এই আশঙ্কায় পরিবারের সদস্যরা কীটনাশক ও দড়িসহ বিপজ্জনক সব বস্তু তার হাতের নাগালের বাইরের রাখার চেষ্টা করতেন তখন।
চিয়া হাই সিয়া চিয়া ওয়েন ছিকে একদিন বলেন, ভাই, আমি অন্ধ, কিছুই করতে পারি না। ভবিষ্যতে আমি কীভাবে জীবনযাপন করি?
চিয়া ওয়েন ছি তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, দেখ, আমার বাহু নেই। এরপরও আমি কয়েকটি দশক কাটিয়ে দিয়েছি। হাসিখুশি থাকার চেষ্টা কর। ভালো থাকতে চাইলে ভালো থাকা যায়।