চীনের বেতার, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রশাসন এবং আবুধাবি পর্যটন ও সংস্কৃতি ব্যুরো গত ২৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে এক স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছে। সম্মানিত অতিথি দেশ হিসেবে ২০১৭ আবুধাবি আন্তর্জাতিক বই মেলায় অংশ নেবে চীন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ছিয়াং হুয়া বলেন, আবুধাবি আন্তর্জাতিক বই মেলা হলো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের বড় আকারের একটি আন্তর্জাতিক বই মেলা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্লাটর্ফমে পরিণত হয়েছে এ বই মেলাটি। আগামী বছর সম্মানিত অতিথি দেশ হিসেবে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বই মেলায় অংশ নেবে চীন। তা দু'দেশের সাংস্কৃতিক শিক্ষা, জনগণের বিনিময়, প্রকাশনা মহলের সহযোগিতা এবং যৌথভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠার জন্য অবদান রাখবে।
বন্ধুরা, এখন শুনুন গত সপ্তাহে চীনের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
সম্প্রতি চীনের বেইজিং অপেরা মাস্টার মেই পাও চিউ এবং বিখ্যাত লেখক ছেন চুং সি মৃত্যুবরণ করেন। তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক মহলের ব্যক্তিরা।
এবার বিস্তারিত।
চীনের বিখ্যাত বেইজিং অপেরা মাস্টার মেই পাও চিউ-এর মৃত্যুর খবরে অপেরা সমাজ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ শোকার্ত হয়ে পড়েন।
মেই পাও চিউ হলেন চীনের বিখ্যাত বেইজিং অপেরা মাস্টার মেই লান ফাং'র নবম ছেলে। তার অভিনয় তার বাবার অভিনয়ের মতোই। তিনি ছিলেন বেইজিং অপেরার মেই দলের প্রতিনিধি এবং উত্তরসূরি।
মেই দলের উত্তরাধিকারী লি সেং সু মেই পাও চিউ'র কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেন। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মেই পাও চিউ'র সঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিলো লি সেং সু'র।
তিনি বলেন,"শিক্ষক সবসময় আমাকে বলতেন যে 'তা থাং কুই ফেই' অপেরা পুনরায় অভিনয় করবেন। তিনি বলতেন, 'লি হুয়া সুং'গানটি গাইবেন। কিন্তু...হাই..."
মেই পাও চিউ'র মৃত্যুতে চীনের ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে এক বিরাট শূণ্যতা।
মেই পাও চিউ ছাড়াও সম্প্রতি চীনের বিখ্যাত সাহিত্যিক, 'মাও তুং' সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ছেন চুং সিও মৃত্যুবরণ করেন।
ছেন চুং সি ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে তার লেখা 'পাই লু ইয়ান' বইটি প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত চীনে এ বইটির ৪০টিরও বেশি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে এবং বইটির ১৭লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। চীনা ভাষা ছাড়া, ফরাসি, জাপানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষায়ও অনুবাদ করা হয়েছে এ বইটি।
তার বই পাঠকদের মনে সৃষ্টি করেছে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। বলা হয়ে থাকে যে, লেখক ছেন চুং সি'র বই হলো এক ধরনের ইতিহাস। তিনি পাঠকদের মনে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এবার সংস্কৃতিবিষয়ক একটি ছোট্ট খবর শোনাবো।
সংস্কৃতিবিষয়ক সংশ্লিষ্ট সংস্থার নবায়ন ও উদ্ভাবনের দ্রব্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চীন সরকার ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়েছে। জাতীয় জাদুঘরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা দেশের পুরাকীর্তি রক্ষা- এ প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা করে সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পণ্য উন্নয়ন করবে।
প্রিয় শ্রোতা, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের কেমন লাগলো? আপনারা যদি 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' বিষয়ক কোনো কিছু জানতে বা আলোচনা করতে চান, তাহলে আমাকে চিঠি লিখবেন বা ই-মেইল করবেন। আপনাদের কাছ থেকে চমত্কার পরামর্শ আশা করছি। আর আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার ইমেইল ঠিকানা হলো, hawaiicoffee@163.com।
চিঠিতে প্রথমে লিখবেন, 'সাহিত্য ও সংস্কৃতি' অনুষ্ঠানের 'প্রস্তাব বা মতামত'। আপনাদের চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। অনুষ্ঠান শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে একই দিন, একই সময় আপনাদের সঙ্গে আবারো কথা হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়ান (জিনিয়া/টুটুল)