সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরীন বলছেন, শাশুড়ি বউয়ের মধ্যেকার একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক চিরাচরিত। অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে এই অবস্থা বিদ্যমান। দেশটিতে শিক্ষার হার বাড়ছে এবং মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে আসছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শাশুড়িরা এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পুত্রবধূ নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুণ নয়, রূপকেই বেশী প্রাধান্য দিচ্ছেন।
"তাকে গৃহকর্মে নিপুণ হতে হবে, ঘরের কাজ করতে হবে। এমনকি যারা বাইরে কাজ করছে, ঘরে এসেও তাদেরকে আবার তাদের নির্ধারিত কাজ করতে হচ্ছে", বলছিলেন মাহবুবা নাসরীন।
"এখনো আমাদের সমাজে ছেলেদের কাজ এবং মেয়েদের কাজ একেবারে সুনির্দিষ্ট ভাবে আলাদা করা আছে, যার জন্য ওই কাজগুলোও তাদেরকে জানতে হবে এবং এটাই স্বাভাবিক"।
কিন্তু পুত্রবধূকে নিজস্ব জায়গা করে দেয়ার মানসিকতা কতটা তৈরি হয়েছে? মিজ নাসরীন বলছেন, স্তরভিত্তিক সমাজ হওয়ায় একেক স্তরে পরিস্থিতিটা একেক রকম। "বেশিরভাগ স্থানেই তৈরি হয়নি"।
তিনি বলছেন, শাশুড়ি অর্থনৈতিক কারণেই ছেলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু পুত্রবধূ আসার পর দেখা যাচ্ছে সেই নির্ভরশীলতার জায়গাটায় ভাগাভাগি হচ্ছে। এর কারণে শাশুড়ি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। "ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে এবং সব জায়গাতে সব শ্রেণীতে বদলাচ্ছে না"। "যেখানে নিরাপত্তাহীনতা বেশী, সেই জায়গাতেই এটা হচ্ছে। যেখানে মেয়েটা শাশুড়ির পরিবারের তুলনায় একটু নিম্ন অবস্থায় আছে সেইসব জায়গায় এটা আছে"।