0327nvxing.
|
অ্যাকশন এইড এর করা এক গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি দাবি করছে, বাংলাদেশের নারীরা তাদের প্রতিদিনের কাজের অন্তত ৪০ শতাংশ পরিবার এবং স্বজনদের পেছনে ব্যয় করেন। কিন্তু তারা এই এ ৪০ শতাংশ কাজের মূল্যায়ন পাচ্ছে না। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নারী অধিকার রক্ষা এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়েছে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড। সম্প্রতি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় দুই জেলা, লালমনিরহাট এবং গাইবান্ধায় চালানো হয় এ গবেষণা।
অ্যাকশন এইডের মতে, নারীদের এ ধরনের কাজের মূল্যায়ন করেই নারীর বৈষম্য দূর করা সম্ভব। অমূল্যায়িত সেবাখাতে পুরুষদের তুলনায় নারী অন্তত ৪০ ভাগ সময় বেশি ব্যয় করেন। কিন্তু তাদের এই কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই। গ্রামাঞ্চলে নারী ও পুরুষ দিনের কতোটা সময় কাজ করেন এই বিষয়ে তুলনামূলক তথ্য তুলে এনেছে সংস্থাটি। রান্না-বান্না ও সন্তান লালন-পালন থেকে শুরু করে গৃহের যে সকল কাজ নারীরা করেন সেগুলোকে অমূল্যায়িত সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন বলছেন, এই দুইটি জেলার এখানকার নারীরা প্রতিদিন প্রায় ছয় ঘণ্টার বেশি সময় এ ধরণের সেবায় সময় ব্যয় করেন। একই কাজে পুরুষরা সময় ব্যয় করেন একঘণ্টার মতো। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে শিশুদের লালন পালন করা, রান্না করা, গৃহস্থালি কাজে সময় ব্যয়, বয়স্কদের সেবা করা।
তিনি বলেন, এসব কাজের জন্য নারীরা পরিবারে বা সমাজে স্বীকৃতি পান না। এমনকি রাষ্ট্রেও এই সেবা বা কাজ মূল্যায়িত হয় না। কিন্তু নারীর অধিকার রক্ষায় এ ধরণের কাজের মূল্যায়ন করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, অনেক দেশে এসব কাজ বিবেচনা করে একটি হিসেব বের করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোনো পদ্ধতি চালু হয়নি। তবে কর্মক্ষেত্রে যেভাবে দক্ষ, স্বল্প দক্ষ, অদক্ষ ইত্যাদি বিভাগে ভাগ করে মজুরি নির্ধারণ করা হয়। সেভাবে যদি এই ধরণের কাজের মূল্যায়ণ করা হতো, তাহলে প্রত্যেক নারীকে প্রতিদিন অন্তত ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা মজুরি দিতে হতো।
(মান্না)