/0320jiankang
|
তাই বিষন্নতাকে অবহেলা নয়। বিষণ্ণতা দূর করতে সচেষ্ট হতে হবে। নতুবা মাত্রাতিরিক্ত বিষন্নতার দরুন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে মনের অজান্তেই। যদি কোনো কারণে নিজে কিংবা কোনো আপনজন বিষন্নতায় আছেন বলে দেখতে পাওয়া যায় তবে তা অবহেলা করা যাবে না। এতে করে মারাত্মক কোনো অঘটন থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। জেনে নেয়া যাক মন খারাপকে ভালো করতে প্রতিদিন যে কাজগুলো করা যেতে পারে।
প্রতিদিনের একটি রুটিন তৈরি করতে হবে
বিষন্নতায় ভুগলে জীবনের থেকে দূরে সরে আসা হয়। কোনো রুটিন থাকে না। তাই সবার প্রথমে একটি রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করতে হবে। রুটিন মেনে চলা গেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যাবে।
বিষন্নতা থেকে দূরে থাকা
দিনের অনেকটা সময় বিষন্ন হয়ে ঘরের কোণে কাটালে অবশ্যই নিজেকে এর থেকে বের হওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে। নতুন কিছু করতে হবে এই লক্ষ্য মেনে কাজ করলে বিষন্নতাকে ভুলে থাকা যাবে। এবং কিছুদিনের মধ্যেই মন থেকে বিষণ্ণতার বিষ দূর হয়ে যাবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
গবেষকদের মতে শারীরিক ব্যায়াম মানুষের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায় যা ভাললাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে এই হরমোনের উতপাদন একজনকে বিষন্নতা মুক্ত রাখবে। যদি ব্যায়াম করা না যায় তাহলে হাঁটতে হবে খানিকক্ষণ। ভালো লাগবে।
পরিমিত ঘুমাতে হবে
যারা বিষন্নতায় ভুগে থাকেন তাদের বেশিরভাগেরই রয়েছে অনিদ্রাজনিত সমস্যা। রাতে ঘুম না হলে বিষন্নতা আরো চেপে বসে মাথায়। তাই প্রথমে অনিদ্রা দূর করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করে ঘুম আনতে হবে চোখে। প্রয়োজনে চিকিতসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
ইচ্ছে করে কাজের দায়িত্ব নিতে হবে
কাজ না থাকলে নিজে থেকে ইচ্ছে করে কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ যতক্ষণ কাজে ব্যস্ত থাকা যাবে ততক্ষণ কোনো ধরণের বিষণ্ণতা ভর করবে না। এভাবে নিয়মিত কাজ করলে বিষন্নতা দূরে পালাবে।
নিজের নেতিবাচক চিন্তাকে নিজেই চ্যালেঞ্জ করুন
আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমি পারবো না, আমাকে কেউ ভালবাসে না ইত্যাদি নেতিবাচক চিন্তা বিষন্নতা ডেকেই আনে না, বিষন্নতা বাড়ায়ও। তাই এই ধরণের নেতিবাচক চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলতে নিজেকেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করতে হবে। চ্যালেঞ্জ জিতে নিজেকে ভুল প্রমাণের মাঝেও আনন্দ খুঁজে পাওয়া যাবে। দূর হবে বিষন্নতা।
হাসতে হবে
সবচেয়ে কার্যকারী ওষুধ হিসেবে পরিচিত হাসি। শত মন খারাপেও একচিলতে হাসি আপনার সব দুঃখ কমিয়ে দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন শুধু মন নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেই সাহায্য করে। এছাড়াও এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, কলেস্টেরল কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
শরীরচর্চাও আপনার মন ভাল রাখতে পারে৷ শরীরচর্চার কারণে এন্ডরফিন নামক হরমোন নির্গত হয় যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে এটি উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।
সকালে কয়েক মিনিট রোদে বা জানালায় ধারে দাঁড়ানো যেতে পারে। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। এতে মানসিক স্থিতি সুস্থ থাকবে।
গান শুনতে হবে
হঠাত কোনো কারণে মন খারাপ হলে গান শুনতে হবে। গানের আবেগ-অনুভূতি যেমন হাসায় ও নাচায়। তেমনি কাঁদায়ও। পছন্দের কোন ধামাকাদার গান শুনলে সেকেন্ডের মধ্যে মন ভাল হয়ে যাবে। গবেষণায়ও দেখা গেছে, গান মন ভাল রাখার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে।
পুরনো সুখ স্মৃতি নাড়াচাড়া
মন খারাপ হলে পুরোনো ছবিগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে হবে। এর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি মন ভাল করে নেয়া যাবে। পুরোনো ছবির পেছনের গল্প মনে পড়লে দুঃখরা পালিয়ে যাবে।(ওয়াং হাইমান/মান্না)