মোদি যখন পাকিস্তান সফর করেন, তখন দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল। এমনি এক প্রেক্ষাপটে মোদির এ সফর বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করে। তারা মনে করেন, একটি কূটনীতির 'মোদি সংস্করণ'।
তখন কোনো কোনো গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল যে, দুই প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তারা পরস্পরের কুশল বিনিময় করেছেন; বিভিন্ন হালকা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। কোনো কোনো বিশ্লেষকের ধারণা দু'দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা পুনরায় শুরু করা বিষয়ে দু'নেতা আলোচনা করতে পারেন।
ভারত-পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সফর বিনিময় সহজ বিষয় নয়। এর জন্য দু'দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মোকাবিলা করতে হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মোদি হয়ত এ জটিলতা এড়াতে চেয়েছেন এবং বলতে গেলে কাউকে কিছু না-বলেই লাহোরে যাত্রাবিরতি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিরোধীদল মোদির তীব্র সমালোচনাও করেছে। তারা বলেছে, মোদি তার দলের সঙ্গেও এ সফর নিয়ে কথা বলেননি। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এমন খেয়ালি হলে চলে না।
এদিকে, কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, মোদি বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছেন যে, তিনি ও তার সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে আন্তরিক।
কারণ যাহাই হোক, মোদির কয়েক ঘন্টার পাকিস্তান সফর কিন্তু দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পথ খানিকটা হলেও সহজ করেছে। আশা করা যায় যে, নতুন বছরে এই সহজতর পথ ধরে দু'দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ জন্য দু'নেতার মধ্যে সফর বিনিময় বাড়ানো প্রয়োজন।