0221nvxing
|
সচেতনতা কি ভাবে সৃষ্টি করতে হবে?
নারীকে পণ্য হিসেবে ভাবা এবং পর্ণের সাথে তুলনা করার মানসিকতা বন্ধ করতে হবে এবং সেটার শুরু হবে প্রতিটি পরিবার থেকে। একজন শিক্ষিত নারী, একজন স্বাবলম্বী নারীকে ফ্রিজ, টেলিভিশন, গাড়ি, গহনা কিংবা ঘর সাজানোর উপকরণের সাথে তুলনা করা যেতে পারে না। এই সচেতনতা তৈরির কাজে তীব্র সামাজিক আন্দোলন দরকার। এটা পরিবার, রাষ্ট্র, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতা দরকার। যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা দরকার। শুধু নারী নয়; ঘরে ঘরে পুরুষকে সচেতন হতে হবে। একজন বাবাকে সচেতন হতে হবে; যুব সমাজকে সচেতন হতে হবে। আর এই সচেতনতার মূল ভীত তৈরি করবে পরিবার।
এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা কি কি তা নিয়ে এবার কথা বলবো।
যৌতুকের কুফল সম্পর্কে গণমানুষকে সচেতন করার জন্য দেশের গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা বেশ কার্যকর ও ফলপ্রসু হতে পারে। জনমানুষকে যৌতুকবিরোধী আইন সম্পর্কে সচেতন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সংবাদ, ফিচার, আলাদা সাময়িকী, নাটিকা, বক্তব্য, বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে। আন্তর্ব্যক্তিক যোগাযোগও ফলপ্রসু ভূমিকা পালন করতে পারে যেমন, মহিলা সমাবেশ, উঠান বৈঠক, কর্মশালা ইত্যাদির মাধ্যমে সচেতন করা। এছাড়া লোকমাধ্যম যেমন যাত্রাপালা এবং শোভাযাত্রা, পোস্টার ইত্যাদির মাধ্যমে যৌতুক বিরোধীর প্রচারণার মাধ্যমে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যৌতুকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে জোরদার করার মাধ্যমে যৌতুক নির্মূলের উপায় হিসেবে ভাবা যেতে পারে।
পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টিকে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে।
এগুলোর পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টিকে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে। পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে সচেতনতার বিষয়টি সর্বপর্যায়ে নিয়ে আসা দরকার। তবে উপায়টি শুধু যৌতুকের কুফল এবং আইন সম্পর্কেই জানানো নয়, নারীদের আত্মমর্যাদা এবং ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সচেতন হতে বলাটা বেশি জরুরি। সর্বোপরি সচেতনতা এবং মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন যৌতুক নির্মূল করতে পারে। কিন্তু একদিনেই সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে এমন নয়। দিনের পর দিন সচেতন করার নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কাঙ্খিত সাফল্য লাভ করা যেতে পারে।(মান্না)